স্টাফ রিপোর্টার ॥ নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবের পদ থেকে সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন শেরপুরের নালিতাবাড়ীর কৃতি সন্তান আব্দুস সামাদ ফারুক। ২৭ জানুয়ারি সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক আদেশে ওই তথ্য জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোঃ তজিমুল ইসলাম খান সাক্ষরিত আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
১৯৬১ সালে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন আব্দুস সামাদ ফারুক। তিনি ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এগ্রিকালচার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে মার্কেটিংয়ে এমবিএ করেন। বিভিন্ন সময়ে ফরেন ট্রেনিং, ওয়ার্কশপ, মিটিং ও সেমিনার উপলক্ষে বিশ্বের বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন। ১৯৮৯ সালে জাইকার উদ্যোগে ইউথ ডেলিগেশন নিয়ে জাপান সফর তাদের অন্যতম।
আবদুস সামাদ তার কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৮৬ সালে, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের এজিএম হিসেবে। তিনি ১৯৮৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে সহকারী সচিব পদে যোগ দেন। তিনি ১৯৯১ হতে ১৯৯৭ পর্যন্ত স্থানীয় সরকার বিভাগে সহকারী সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিব পদে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ১৯৯৭ সাল হতে ১৯৯৯ পর্যন্ত সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় এবং ১৯৯৯ হতে ২০০১ পর্যন্ত সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ হতে ২০০৬ পর্যন্ত তিনি নেত্রকোনা জেলায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে ছিলেন। পরবর্তীতে ২০০৬ হতে ২০০৮ পর্যন্ত পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক পদে নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি ২০০৯ সালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯-২০১১ সালে তিনি সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ছিলেন। ২০১২ সালে তিনি রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং ২০১৪ সালে খুলনার বিভাগীয় কমিশনার নিযুক্ত হন। পরে ২০১৭ সালে তিনি নৌ-পরিবহন সচিব পদে পদোন্নতি পান।
পেশাগত পরিচিতির বাইরে তিনি একজন কবি। তার লেখা একাধিক কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। এদের মধ্যে শুভ্র সমুজ্জ্বল, শিশিরে জীবন কল্লোল, ঘাস ফড়িংয়ের জোৎস্না স্নান উল্লেখযোগ্য। মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও তিনি গবেষণা করেছেন। শেরপুরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নাজমুলের উপর তার লেখা জল জোছনায় নাজমুল বহুল প্রশংসিত একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক জীবনী গ্রন্থ।
এদিকে পদোন্নতি পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে আবদুস সামাদ ফারুক সারাজীবন দেশ ও মানুষের সেবায় কাজ করার জন্য সকলের দোয়া কামনা করেছেন। আর তার পদোন্নতিতে অভিনন্দন জানিয়েছেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি, বিভাগ উন্নয়ন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, শেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতি ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার।