শ্যামলবাংলা ডেস্ক : দেশের সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসায় স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন আগামী ২৫ জানুয়ারী শনিবার অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব হোসেন। ২৩ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি ওইকথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। এবছর দেশের ৮টি বিভাগ ও ৮টি মহানগরের আওতাধীন ৫৫৯টি উপজেলার মোট ২২ হাজার ৯২৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে ১৬ হাজার ৩৮৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৬ হাজার ৫৪২টি দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে। এবছর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৩১ হাজার ৭২টি এবং মাদ্রাসায় ৫২ হাজার ৩৩৬টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই তিন নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১ কোটি ১৫ লাখ ৫৩ হাজার।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসায় ছাত্ৰ-ছাত্রীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত ৮ জন প্রতিনিধির সমন্বয়ে ১ বছরের জন্য স্টুডেন্টস কেবিনেট গঠিত হয়। এবছর প্রার্থীদের তালিকা ও নির্বাচনের রেজাল্ট অনলাইনে দেওয়া হবে। এ নির্বাচনে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে তারা যেন তাদের সন্তানদের এই কাজে নিজেদের বিচার বিবেচনা ও বুদ্ধি কাজে লাগাতে সাহায্য করবে তবে প্রভাবিত করবেন না।’
সচিব বলেন, ‘বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে। নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ভোটার তালিকাভুক্ত যে কোনো শিক্ষার্থী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে। প্রত্যেক ভোটার প্রত্যেক শ্রেণিতে ১টি এবং সর্বোচ্চ ৩টি শ্রেণিতে ২টি করে ৮টি ভোট দিতে পারবে। প্রত্যেক শ্রেণি থেকে একজন করে পাঁচটি শ্রেণি থেকে ৫ জন এবং পরবর্তী সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত যে কোনো ৩ শ্রেণি থেকে ১ জন করে ৩ জন মোট ৮ জন সদস্য নিয়ে স্টুডেন্টস কেবিনেট গঠিত হবে। নির্বাচনে কোন প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না।’
স্টুডেন্ট কেবিনেট গঠনের উদ্দেশ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, শিশুকাল থেকে গণতন্ত্রের চর্চা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া, অন্যের মতামতের প্রতি সহিষ্ণুতা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিখন-শেখানো কার্যক্রমে শিক্ষকদের সহায়তা করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ ছাত্র ভর্তি ও ঝরে পড়া রোধে সহযোগিতা করা, শিখন-শেখানো কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
তিনি আরও বলেন, এখন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদরাসায় এ নির্বাচন হলেও আগামীতে কলেজপর্যায়েও নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে।