শ্যামলবাংলা ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ’৭৫-এর পর সত্যিই বাংলাদেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। সেই অন্ধকার ভেদ করে এখন বাংলাদেশ আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন ও আদর্শ নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন, তা বাস্তবায়নে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। ১৬ জানুয়ারী বুধবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ৩০ মিনিটের প্রশ্নোত্তর পর্বে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী ওইসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মুজিববর্ষ কে (বিএনপি) মানল বা কে মানল না- সে জন্য জাতি বসে নেই, বসে থাকেনি। তারা যদি কাউকে সম্মান না দেখাতে পারে তাহলে সেটা আইন দিয়ে তো তাদের মনের ইচ্ছাটা পূরণ করা যাবে না। তবে বাঙালি জাতিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি, পারবেও না। ২৯৮টি কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব বছরব্যাপী মুজিববর্ষ পালন করবে। জাতি হিসেবে এটি আমাদের জন্য বিরল সম্মানের।
বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, যারা সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর হত্যকাণ্ডে জড়িত- সে সব খুনিদের বিচারের হাত থেকে মুক্ত করে পুরস্কৃত করেছে, যারা স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী, যাদের বিচার শুরু হয়েছিল- তাদের বিচারের পথ বন্ধ করে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিয়ে মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিল- তাদের (বিএনপি) কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না। তারা যদি কাউকে সম্মান না দেখাতে পারে, সে জন্য জাতি বসে থাকেনি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার অবদান, নাম, স্লোগান ও ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছিল। আজকে সেই সঠিক ইতিহাস সারা বিশ্বে উদ্ভাসিত হয়েছে। শুধু বাঙালির মুখে নয়, সারা বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর অবদান স্বীকৃতি পেয়েছে।
প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে বছরব্যাপী দেশে-বিদেশে গৃহীত বিস্তারিত কর্মসূচি সংসদে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।