স্পোর্টস ডেস্ক : অবশেষে দেখা গেল বিপিএলের ট্রফি। ইংল্যান্ড থেকে তৈরি করে আনা ট্রফির উন্মোচন করতে আজ উপস্থিত ছিলেন খুলনা ও রাজশাহীর অধিনায়ক মুশিফিকুর রহিম ও আন্ড্রে রাসেল।
বিপিএল শুরুর আগে অধিনায়কদের নিয়ে যে পর্বটা বিসিবি করেছিল, সেটিতে ট্রফির উপস্থিতি ছিল না। বিসিবি জানিয়েছিল, ট্রফি নিয়ে ভিন্ন একটা পরিকল্পনা আছে তাদের। আয়োজকেরা আসলে চেয়েছিলেন ট্রফিটা উন্মোচন করা হবে ফাইনালে ওঠা ২ অধিনায়ককে নিয়ে। ট্রফি উন্মোচন করতে তাই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এলেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও রাজশাহী রয়্যালসের অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। ২ জন হাসিমুখে ট্রফি উন্মোচন করলেন। কাল অবশ্য ওই হাসি থাকবে শুধু একজনের মুখে।
বিপিএলের এ ট্রফিটা বাংলাদেশে তৈরি হয়নি। আনা হয়েছে ইংল্যান্ড থেকে। লন্ডনের ‘ইংকারম্যান’কোম্পানি প্রস্তুত করেছে বিপিএলের ট্রফি। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) পরামর্শে বিসিবি বিপিএলের ট্রফি তৈরির দায়িত্ব দেয় ইংকারম্যানকে। এই প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ট্রফিও।
বিপিএলের ট্রফি তৈরি, আনা, ট্যাক্সসহ মোট খরচ পড়ছে প্রায় ২০ লাখ টাকা। এবারের টুর্নামেন্টের লোগোতে একটু পরিবর্তন এসেছে, হুবহু আগের নকশায় ট্রফি তৈরি হয়নি। তবে প্রতিবারের মতো ট্রফিতে সোনালি আভাটা আছে। ট্রফির নকশায় সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটা হচ্ছে নিচের দিকে যোগ হয়েছে মুজিববর্ষের বিশেষ লোগো।
আর্থিক দিক দিয়ে ট্রফিটা দামি তো অবশ্যই। তবে শুধু আর্থিক মূল্যের কারণে নয়, শিরোপা জেতার আনন্দ, মাহাত্ম্য, মর্যাদাই যে অন্যরকম। রাজশাহী অধিনায়ক রাসেল তাই বলছেন, সবাই তো শিরোপা জিততে চাই। আমরাও এটার বাইরে ভাবছি না।
রাজশাহীর অধিনায়ক কথা বললেও খুলনা অধিনায়ক মুশফিক অবশ্য সংবাদমাধ্যম এড়িয়ে গেলেন। দলটির কোচ জেমস ফস্টার আশাবাদী, আমরা খুবই আত্মবিশ্বাসী। নিজেদের শেষ চার ম্যাচই জিতেছি। সে ম্যাচগুলোর বেশির ভাগই ছিল নকআউট ধরনের। আমরা ভালো ছন্দে আছি। এখন নির্দিষ্ট দিনে ভালো খেলতে পারলেই হয়।