শ্যামলবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নতুন বাজার সৃষ্টিতে করার জন্য দেশের রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মধ্যপ্রাচ্যের নয়টি দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিনিয়োগ ও রপ্তানির ক্ষেত্রে কোন দেশে কোন পণ্য এবং কি পরিমাণ চাহিদা রয়েছে তা আপনাদের জানতে হবে। সে অনুযায়ী আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং কাজ করতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সফরে সোমবার রাতে শাংগ্রিলা হোটেলে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের এক সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,কাজ করার সময় মনে রাখতে হবে যে, বিশ্বটাকে এখন ‘বৈশ্বিক পল্লী’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। তাই প্রত্যেককে একে অপরের সহযোগিতা বাড়ানোর মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। খবর বাসসের
সম্মেলনে অংশ নেওয়া রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে ছিলেন-সৌদি আরবের নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) কে এম মমিনুর রহমান, ইরানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গাউসুল আজম সরকার, ইরাকে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ এম এম ফরহাদ, কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম, লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার, ওমানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম সারোয়ার ও কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমদ। সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
কোনো প্রবাসীকে বিদেশের মাটিতে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয়, রাষ্ট্রদূতদের সেভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে রেমিটেন্সের সবচেয়ে বড় অংশটি আসে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশি চাকরি প্রত্যাশিরা যাতে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার না হয় এবং বিদেশে যাওয়ার জন্য কাউকে যাতে বাড়তি টাকা দিতে না হয়। এজন্য আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। গ্রামঞ্চলে প্রচারণ বাড়াতে হবে। রাষ্ট্রদূতদের মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক জোরদারের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতদের বিদেশি রাষ্ট্রগুলোতে ‘মুজিব বর্ষ’ পালনে কর্মসূচি গ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে নারী ক্ষমতায়ন এবং সমুদ্র অর্থনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর জোর দেন।
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।