স্পোর্টস ডেস্ক : নিষিদ্ধ হওয়ায় এখন সব ধরনের ক্রিকেট কার্যক্রম থেকে দূরে আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিউক্লিয়াস সাকিব আল হাসান। তার ওপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা-আইসিসির নিষেধাজ্ঞা উঠবে আগামী অক্টোবরে। ততদিনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও খেলে ফেলবে বাংলাদেশ। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ডিসেম্বরে শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারেন সাকিব। অর্থাৎ চলতি বছরের বেশিরভাগ সময় নির্বাসনে থাকবেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অধিনায়ক। তাই বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তার থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে এই চুক্তিতে থাকতে পারেন অবসরের প্রহর গুণতে থাকা ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিবিসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি সম্পর্কে বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, সাকিব সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ। সুতরাং কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তার থাকার সম্ভাবনা নেই। আর মাশরাফির থাকা না থাকা তার ওপর নির্ভর করছে।
জানা গেছে, আগামী ১২ জানুয়ারি চূড়ান্ত হবে এ চুক্তি। এই চুক্তিতে থাকতে পারেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। বিষয়টি যদিও তার ওপরই ছেড়ে দিয়েছে বোর্ড। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে মাশরাফি। গেল ৭ মাসে বাংলাদেশ অবশ্য খেলেছেই মাত্র ৩টি ওয়ানডে। ২০২০ সালে টাইগারদের খুব বেশি ওডিআই ম্যাচ নেই। ফেব্রুয়ারিতে জিম্বাবুয়ে সিরিজ, মে’তে আয়ারল্যান্ড সফর এবং বছরের শেষদিকে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ খেলবে তারা। এখন পর্যন্ত এ ৯টি একদিনের ম্যাচের সূচি আছে তাদের সামনে। এই ৯ ম্যাচে মাশরাফি নেতৃত্ব দেবেন কি না, তা এখনো বলার উপায় নেই। বিশ্বকাপের পর থেকে শোনা যাচ্ছে তার অবসরের গুঞ্জন। গেল আগস্টে ম্যাশকে ডেকে এ ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। তবে তখন পরিষ্কার করে কিছুই বলেননি তিনি। তাই তাকে রেখেই কেন্দ্রীয় চুক্তি সংযোজন-বিয়োজন করতে চাইছে বোর্ড।
২০১৯ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে ছিলেন ৫ সিনিয়র ক্রিকেটার- মাশরাফি, সাকিব, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ছিলেন ৩ ক্রিকেটার-ইমরুল কায়েস, মোস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ৪ ক্রিকেটার হলেন-মুমিনুল হক, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। এর বাইরে ‘রুকি’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছিল ৫ ক্রিকেটার। তারা হলেন- আবু হায়দার রনি, আবু জায়েদ চৌধুরী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নাঈম হাসান ও খালেদ আহমেদ।