স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুতনয়া শেখ হাসিনা ছাড়া সবাই কওমী মাদ্রাসাকে ব্যবহার করেছে বলে মন্ত্রব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য কৃষি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। তিনি ৬ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে তার নির্বাচনী এলাকা শেরপুরের নালিতাবাড়ীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থী ও দরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণকালে বিএনপি-জামায়াত বা অন্য কোন সরকারের নামোল্লেখ না করে ওই মন্তব্য করেন।
মতিয়া চৌধুরী মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কারণেই আজ দেশে কওমী মাদরাসা স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশে মাদ্রাসা ও কওমী মাদ্রাসাকে শিক্ষা কারিকুলামের আওতায় নেওয়া হয়েছে। অথচ আপনাদের নিয়ে সবাই খেলেছে, কিন্ত কাজ করেনি। কাজেই কারিকুলাম মেনেই পড়ালেখা করাতে হবে। ফ্রি স্টাইলে পড়ালে চলবে না। তিনি আরও বলেন, এখন বাড়ি থেকে ডেকে এনে কেউ চাকুরি দেবে না। কম্পিটিশনের মধ্যে টিকে থেকেই চাকুরি নিতে হবে। কাজেই ফলাফল যদি ভাল না করেন তার জন্য প্রথম দায়ী থাকবেন গার্ডিয়ান, তারপর দ্বিতীয় দায়ী থাকবেন শিক্ষকরা।
মতিয়া চৌধুরী আত্মসমালোচনা করে বলেন, আমি যে খুব জনপ্রিয় তা না, আমি প্রয়োজনীয়। আমি আপনাদের প্রয়োজনটা সাধ্যমত মেটাতে চেষ্টা করি। নিজের বিবেককে ঠিক রেখে, পরিস্কার রেখে। আমার কথাবার্তা যে মধুর, তাও আমি দাবি করব না। আমি আপনাদের প্রয়োজনীয় প্রতিনিধি, প্রিয় প্রতিনিধি না। জনপ্রিয়তার জন্য এর পকেট কেটে ওরে দেওয়া, এই কলসির পানি ওই কলসিতে দেওয়া- ওই অভ্যাস সারাজীবন প্র্যাকটিস করিনি, এখনও আর করতে চাই না।
এদিন মতিয়া চৌধুরী উপজেলার পৌরসভাসহ ১২টি ইউনিয়নে সকল মাধ্যমিক, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এবতেদায়ী মাদ্রাসার সেরা ১০ মেধাবী শিক্ষার্থীসহ হতদরিদ্রদের মাঝে কম্বল, ৫১৮ জন শিক্ষার্থীর মাঝে নগদ ৫শ করে টাকা বিতরণ করেন। ওইসময় উপস্থিত ছিলেন শেরপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, পৌর মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক বাক্কার, স্পেশাল পিপি এডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ বকুল প্রমুখ।