শ্যামলবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যায় জড়িত পলাতক ৪ আসামিকে খুঁজে পেতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ৫ জানুয়ারী রবিবার ওই নির্দেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম। আবরার হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পলাতক চার আসামি হলেন-মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও মোস্তবা রাফিদ। এদের মধ্যে প্রথম তিনজন এজহারভুক্ত ও মোস্তবা রাফিদ এজাহার বহির্ভূত।
এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর পলাতক ওই চার আসামির সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়ে তা কার্যকরের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। ৫ জানুয়ারি ওই প্রতিবেদন দাখিল করা হলে ৪ আসামির বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেন আদালত।
গত বছরের ১৮ নভেম্বর এই চার ফেরারি আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সেদিন গ্রেফতার-সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
এর ৫ দিন আগে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে আবরার ফাহাদ হত্যায় ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে ১৯ জনের নাম এজহারে উল্লেখ রয়েছে। এজাহার বহির্ভূত ছয়জন।
এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন ও এজাহারবহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে (মোট ২১ জন) গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান।
গ্রেফতার ২১ জন হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে ভারতবিরোধী স্ট্যাটাস দেয়ায় গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরার ফাহাদকে মর্মান্তিকভাবে পিটিয়ে আহত করে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।