শ্যামলবাংলা ডেস্ক : আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে সংগঠনটির সদ্য প্রয়াত কবীর মুরাদের স্মরণে নাগরিক স্মরণ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র চলছে। এখানে একদলীয় শুধু নয়, এক ব্যক্তিও হয়ে যাচ্ছে, একটা পরিবার হয়ে যাচ্ছে। পরিবারতন্ত্র চলছে এখন। আওয়ামী লীগের ‘পরিবারতন্ত্রের ব্যাখ্যা’ দিয়ে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরিবারের সদস্যকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, সংগঠনগুলোর নেতৃত্বেও পরিবারের লোকজন। তারা আজকে পরিবারতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে। এই অবস্থার পরিবর্তন আনতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গত ৭ ডিসেম্বর কবীর মুরাদ মারা যান। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্যও ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের এই সংগ্রাম, এই লড়াই কোনো ছোট-খাটো লড়াই নয়, জোর লড়াই। এই লড়াইয়ে সবাইকে অংশ নিতে হবে। প্রত্যেককে অংশ নিয়ে একটা মুক্তির একটা বাসনা সৃষ্টি করে এদেরকে পরাজিত করতে হবে।
তিনি সবার উদ্দেশে বলেন, আসুন-সবাই সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাই। ভয়াবহ সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য ৩০ তারিখের নির্বাচন ফলাফলকে সম্পূর্ণ বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় আবার একটা নতুন নির্বাচন আদায় করতে হবে। জনগণের মুক্তির জন্য, সত্যিকার অর্থেই একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য তাদের এই সংগ্রাম অব্যাহত রাখত হবে।
খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় অন্যায়ভাবে খালেদা জিয়াকে অসুস্থবস্থায় আটক রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একটার পর একটা মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। নাইকোর দুর্নীতির মামলা এই সরকার করেছে। মূল যে মামলা কানাডাতে, সেখানে আন্তর্জাতিক সালিশ নিষ্পত্তিকারী ট্রাইব্যুনালের রায়ের তথ্য গোপন রেখেছে এই সরকার। ইতিমধ্যে এই মামলার রায় হয়েছে। এই রায়ে বলা হয়েছে যে, কোনো রকম দুর্নীতি হয়নি এবং খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য যাদেরকে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিলো তারা সম্পূর্ণ নির্দোষ। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিষয়টি যেন জনসমক্ষে প্রকাশ না করা হয় সেজন্য ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর সেটেলমেন্ট অব ইনভেস্টমেন্ট ডিসপিউটকে চাপ দিয়েছে সরকার। এভাবে গ্যাটকো মামলাসহ প্রত্যেকটি মামলা অন্যান্য মামলাগুলোর মিথ্যা মামলা।
জিয়া পরিষদের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম সলিমুল্লাহ খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, প্রয়াত কবীর মুরাদের স্ত্রী বেগম মমতাজ কবীরসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাবিদ ও পেশাজীবী নেতারা বক্তব্য দেন।