স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলমান তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় শেরপুরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে যাচ্ছে না। শীতের ফলে ডায়রিয়া ও ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনিই হাসপাতালে ভর্তির রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সন্ধ্যা থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে পুরো জেলা। এ সময় দূরপাল্লার যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সড়ক-মহাসড়কে চলাচল করছে। শীত ও কুয়াশার ফলে বোরো বীজতলার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাঃ খাইরুল কবির সুমন বলেন, প্রচণ্ড শীতের ফলে শিশু ও বয়স্কদের ডায়রিয়া ও ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে যথাক্রমে ৪৪ ও ৩৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
শেরপুর খামারবাড়ির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আশরাফ উদ্দিন বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় ৯১ হাজার ৭৭৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কুয়াশা অব্যাহত থাকলে বোরো বীজতলার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে কুয়াশা কেটে গেলে বীজতলায় প্রয়োজনীয় সার ব্যবহার করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। সরকারিভাবে শীতবস্ত্রের যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ফলে সাধারণ মানুষ স্বল্পমূল্যে শীতবস্ত্র কেনার জন্য ফুটপাতের দোকানগুলোয় ভিড় করছে।