শ্যামলবাংলা ডেস্ক : হাড়কাঁপানো শীতে কাহিল রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন দেশের প্রায় অধিকাংশ অঞ্চল। গত কয়েকদিন ধরেই কুয়াশার চাদরে মোড়ানো রয়েছে রাজধানী শহর। কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্যের দেখা মিলছে না।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই কুয়াশার চাদরে মোড়ানো রয়েছে রাজধানী শহর। এদিন ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ২ রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, রবিবার পর্যন্ত তাপমাত্রা কম থাকতে পারে। এরপর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ায় তুলনামূলক ঠাণ্ডা কমবে। তবে শীতের এই ধারাবাহিকতা জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। অর্থাৎ ওই সময় পর্যন্ত শীত পড়বে এবার।

শীতের তীব্রতায় কাহিল হয়ে পড়েছে দেশের উত্তরাঞ্চল। ধীরে ধীরে কমছে তাপমাত্রা। সঙ্গে কনকনে হিমেল হাওয়া। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে চারপাশ। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এসে পুরো উত্তরাঞ্চলজুড়েই এখন শীতের দাপট। দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা বাড়িয়েছে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পৌষের শুরুতে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে আছে ঘন কুয়াশা। রাজধানীতে সূর্যের দেখা মিলছে না বললেই চলে। তাপমাত্রা কমেছে তিন থেকে সাত ডিগ্রি পর্যন্ত। এমন অবস্থা চলবে আরো দুই দিন। আসতে পারে নিম্নচাপ। এ ছাড়া ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ দেখা দিতে পারে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ।
এছাড়া তীব্র শীতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে স্টেশনে কিংবা পথের ধারে ঠাই পাওয়া ছিন্নমূল মানুষের। পাতলা চাদর কিংবা কম্বল দিয়েই রাত কাটাতে হচ্ছে তাদের। আবার একটি চাদর দিয়েই কয়েকজন মিলে শীত নিবারণের চেষ্টা তাদের।
