স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরে পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহে স্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণে নারীদের রেকর্ড অর্জিত হয়েছে। সদর উপজেলায় ৭ দিনে শতকরা ১৩৪ ভাগ নারী স্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। এক সপ্তাহে ৩২ নারীকে স্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণ করানোর জন্য লক্ষ্যমাত্রা নেয় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ। সেখানে পদ্ধতি গ্রহণ করেন ৪৮ জন নারী। এছাড়া ই¤প্লান্ট নিয়েছেন ৩৯৭ জন মা। যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল সপ্তাহে ১৩০ জন। ২৭ জনের লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে আইইউডি গ্রহণ করেছেন ৬৮ জন নারী। গর্ভকালীণ সেবা নিয়েছেন ৬৫০ জনের মধ্যে ৪৪৮ জন। প্রসবকালীণ সেবা নিয়েছেন লক্ষ্যমাত্রার ৬০ জনের মধ্যে ৩৮ জন নারী এবং প্রসবোত্তর সেবা নিয়েছেন ১৫০ এর মধ্যে ১৭০ জন নারী।
১৫ ডিসেম্বর রবিবার সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ওইসব তথ্য জানান শেরপুর সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শারমিন রহমান অমি। ওইসময় ডাঃ শারমিন অমি বলেন, পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহে স্থায়ী পদ্ধতি ও ইমপ্লান্ট গ্রহণে শেরপুরে রেকর্ড অর্জিত হয়েছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কোনদিন এমন লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, বিগত তিনমাসে গ্রাম পর্যায়ে মা কিশোরীদের নিয়ে পরিকল্পিত পরিবার, বাল্য বিয়ের কুফল ও পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি নিয়ে জনসচেতনতামূলক সমাবেশ ও উঠান বৈঠক করার ফলে তাদের ভেতরে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পদ্ধতি নেওয়ার হার বেড়েছে। তবে প্রসবকালীণ সেবার ব্যাপারে মায়েদের আর সচেতন করা হবে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের পরিবার –পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।