মঙ্গলবার , ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

শেরপুরে কৃষক মেলায় উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য দাবি কৃষকদের

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
ডিসেম্বর ৩, ২০১৯ ৬:০০ অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুর কৃষক মেলায় উৎপাদিত কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য দাবি করেছেন কৃষকরা। সেইসাথে কৃষি ভর্তুকি এবং সরকারি সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে কৃষিকার্ড চালুরও দাবি জানিয়েছেন। ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে দিনব্যাপী ওই কৃষক মেলা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা এফ এম মোবারক আলী প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষক মেলার উদ্বোধন করেন। মেলায় স্থাপিত ৮টি স্টলে স্থানীয় কৃষি বিভাগ, কৃষিপণ্য উৎপাদক এসোসিয়েশন এবং কৃষকদের উৎপাদিত বিভিন্ন ফসলাদি, বীজ ও কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হয়।
মেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় কৃষি সচেতনতামুলক আলোচনা সভা ও কৃষি ক্যুইজ প্রতিযোগিতা। এছাড়া স্থানীয় বাউল শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। মেলা উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি ভাতশালা ভোটঘর এলাকা প্রদক্ষিণ করে। অন্যান্যের মাঝে আলোচনা সভায় সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা, উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন, কৃষিপণ্য উৎপাদক এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইন্তাজ আলী, সমষ্ঠি পরিচালক মীর সাহিদুল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কৃষক ইন্তাজ আলী বলেন, আমরা ধান চাষ করি, কিন্তু বাজারে দাম পাইনা। সরকারি গুদামে ধান দেওয়ার বহুত ঝামেলা। সব্জীর আবাদ করি, কিন্তু মওশুমের সময় তা সংরক্ষনের ব্যবস্থা নাই। যে কারণে কম দামেই তা বিক্রী করা লাগে। সরকারের ভতূর্কি দেয়, ওইসব মুখচেনাওয়ালারাই পায়। তাই উৎপাদিত শস্যের ন্যায্যমুল্য আমরা কৃষকরা পাইনা। তাই কৃষিকার্ড চাল করা দরকার। কার কতো জমি, কে কী ফসল কোন সময় করতাছে ওই কার্ডে সব লেখা থাকবে। এতে সরকারি ভর্তুকি পাওয়া, গুদামে ধান দেওয়া সহজ হবে। আর এলাকায় এলাকায় হিমাগার থাকলে সবজি সংরক্ষণ করে পরে বেশী দামে বাজারে বিক্রী করা গেলে কৃষকরা লাভবান হবে। সরকারের এইসব দিকে নজর দেওয়া দরকার। মেলা চত্বরে বিকেলে ক্যুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ী ও সেরা স্টল নির্বাচন করে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে বিশেষ পুরষ্কার সহ সকল স্টল স্থাপনকারীদের মাঝে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয়। ক্ষমতায়ন প্রকল্প বা ‘এমপাওয়ারিং স্মলহোল্ডার টু স্ট্রেংদেন ডেমোক্রেটিক লোকাল গর্ভান্যান্স’ প্রকল্পের আওতায় কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য ও কৃষিভর্তুকি এবং সহায়তা নিশ্চিতকরণে প্রচারাভিযান কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিএস এ কৃষক মেলার আয়োজন করে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!