শ্যামলবাংলা ডেস্ক : বিটিভির জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ এবার ধারণ করা হয়েছে ঢেউ খেলানো পাহাড়-ঝরনা-নদী-সবুজ অরণ্য আর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বিচিত্র সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে ঘেরা অপরূপা বান্দরবানে। ১৬ নভেম্বর বান্দরবান শহরের প্রাণকেন্দ্রে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬০০ ফুট ওপরে টাইগার পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত অপরূপ পর্যটন কেন্দ্র ‘নীলাচলে’ এবারের ইত্যাদি ধারণ করা হয়। এবারের আয়োজনে রয়েছে বান্দরবানের ইতিহাস, ঐতিহ্যের পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত, দর্শনীয় ও পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থানগুলোর ওপর তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।

নির্মাতা সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবানে এমন এমন দুর্গম অঞ্চলও রয়েছে যেখানে টিভি অনুষ্ঠান নির্মাণতো দূরের কথা, কোনো টিভি ক্যামেরাও কখনও পৌঁছেনি। বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর সহযোগিতায় ওইসব স্থানে গিয়েও অনেক চিত্র ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে পার্বত্য এলাকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর চঞ্চল কান্তি চাকমার ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ওপর একটি মানবিক প্রতিবেদন।
২০১১ সালে প্রচারিত ইত্যাদিতে টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ে স্থাপিত ব্যতিক্রমধর্মী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র কাইলাকুড়ি হেলথ কেয়ার সেন্টার এবং এর পরিচালক নিউজিল্যান্ডের অধিবাসী ৭৪ বছর বয়সী ডাক্তার প্রয়াত এড্রিক বেকারের ওপর একটি প্রতিবেদন প্রচার করা হয়েছিল। তার মৃত্যুর পর হাসপাতালের নতুন ডাক্তার ভাই ও ডাক্তার দিদি জেসন-মারিন্ডি দম্পতির ব্যতিক্রমী কার্যক্রমের ওপর রয়েছে একটি অনুকরণীয় প্রতিবেদন। পৃথিবীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র সৈকতের পরিবেশের ওপর রয়েছে একটি সচেতনতামূলক প্রতিবেদন।
এবারের বিদেশি প্রতিবেদনে রয়েছে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের পাথরনগরী বলে খ্যাত মামাল্লাপুরামের কিছু স্মৃতিস্তম্ভের ওপর সচিত্র প্রতিবেদন। অনুষ্ঠানে গান রয়েছে ২টি। এর মধ্যে একটি হচ্ছে আঁখি আলমগীর ও মারমা শিল্পী মান মান সিংয়ের কণ্ঠে অনুরাগের গান। এছাড়াও বান্দরবানের সবুজ-শ্যামল রূপ বৈচিত্র্য নিয়ে অন্য একটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন বান্দরবানের এগারটি নৃগোষ্ঠী ও বাঙালি শিল্পীদের সমন্বয়ে শতাধিক নৃত্যশিল্পী। নাচের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন চথুইফ্রু মারমা, কমল, হ্লামেচিং মারমা ও তানজিনা রুমা। মারমা ভাষায় গানটি অনুবাদ করেছেন চথুইফ্রু মারমা, নৃত্য পরিচালনা করেছেন প্রাণ গোপাল।
নিয়মিত দর্শকপর্বসহ এবারও রয়েছে পর্যটকবান্ধব দোকান, সাক্ষাৎকার নিয়ে ব্যবসা, অনলাইনে ভিক্ষা, ডিজিটাল শিক্ষক, মরণোত্তর প্রশংসা, স্বভাবে মানুষ নষ্টসহ বেশকিছু সরস অথচ তীক্ষ্ণ নাট্যাংশ। এবারের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অসুস্থতার পর প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন ২ বর্ষীয়ান অভিনেতা মাসুদ আলী খান ও এটিএম শামসুজ্জামান।

উল্লেখ্য, বরাবরের মতো অনুষ্ঠানটি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। এ পর্বটি একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে ২৯ নভেম্বর শুক্রবার রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর প্রচার হবে।
