২ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা
ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি ॥ শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসনিক কর্মকর্তার ড্রাইভার থাকলেও তার ব্যবহারের জন্যে নেই কোন গাড়ি। অপরদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এম্বুল্যান্স থাকলেও গত ৪ বছর ধরে নেই কোন ড্রাইভার। ফলে এ উপজেলার রোগীরা সরকারি এম্বুল্যান্সের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ অহিদ ইকবাল জানান, ৩৫ শয্যা বিশিষ্ট এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক থাকার কথা ১৭ জন। কিন্তু কাগজে-কলমে আছে ৮ জন। তন্মধ্যে ৪ জন চিকিৎসক রয়েছে ডেপুটেশনে। ২৫ নভেম্বর সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়, ছুটিতে রয়েছে ২ জন চিকিৎসক। বাকী ২ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের ২ লাখ লোকের চিকিৎসা সেবা। নিয়ম অনুযায়ী জরুরি বিভাগে ২৪ ঘন্টায় চিকিৎসা সেবা দিতে প্রয়োজন হয় ৩ জন চিকিৎসক। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন চিকিৎসা লাভের আশায় শতশত রোগী ভিড় করে। কিন্তু ওষুধপত্র তো দূরের কথা, অনেক সময় চিকিৎসকের দেখাও মেলে না রোগীদের ভাগ্যে। ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থেকে শূন্য হাতে বাড়ি ফিরতে হয় তাদের। এসব অভিযোগ রোগীদের। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে মেশিনটি দীর্ঘদিন থেকে অকেজো। এম্বুল্যান্সের ড্রাইভার নেই গত ৪ বছর ধরে। ফলে পাহাড়ী এলাকার দরিদ্র রোগীরা সরকারী এম্বুল্যান্সের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অপর দিকে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রশাসনিক কর্মকর্তার নামে কোন গাড়ি বরাদ্দ নেই । কিন্তু আছে ড্রাইভার। চিকিৎসক সংকটের কারণে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেস্তে যেতে বসেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নতুন নিয়োগকৃত চিকিৎসক যোগদানের পর চিকিৎসক সংকটের সমাধান হবে।