শ্যামলবাংলা ডেস্ক : ভারত সফরে টেস্ট সিরিজে টাইগারদের ছন্নছাড়া ব্যাটিং। মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, মুমিনুল, ইমরুল, লিটন, সাদমানরা ভারতীয় পেস বোলিং রীতিমতো পৃষ্ঠ। ভারতের মাঠে স্বাচ্ছন্দে ব্যাটিং করতে পারছেন না টাইগাররা। যে কারণে ইন্দোর টেস্টের মতো ইডেন টেস্টেও ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কায় বাংলাদেশ। ইন্দোর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩১ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ দল। দ্বিতীয় ইনিংসেও একই চিত্র। ৪৪ রানে নেই চার ব্যাটসম্যানের উইকেট। ইন্দোরে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কারণে বাংলাদেশ হেরে যায় ইনিংস ও ১৩০ রানের বিশাল ব্যবধানে।
একই চিত্র ইডেন গার্ডেন্সে। দিবা-রাত্রির প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত অলআউট হয় ১০৬ রানে। জবাবে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ৩৪৭ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। ২৪১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেও সুবিধা করতে পারছেন না টাইগার ব্যাটসম্যানরা। ইতিমধ্যে ১৩ রানের ব্যবধানে টপঅর্ডার চার ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কায় পড়েছে বাংলাদেশ।
শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সাদমান ইসলাম অনিক ও অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ। ভারতীয় পেসার ইশান্ত শর্মার শিকারে পরিনত হওয়ার আগে সাদমান ও মুমিনুল ৫ ও ৬ বল খেলার সুযোগ পান। দলীয় ৯ রানে উমেশ যাদবের বলে মিডউইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা মোহাম্মদ সামির হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন। তিনি ১২ বল খেলে করেন মাত্র ৬ রান। এর আগে প্রথম ইনিংসে এই উমেশ যাদবের বলেই স্ট্যাম্প উড়ে যায় মিঠুনের। ফেরেন শূন্য রানে।
এরপর দলীয় ১৩ রানে আউট হন ইমরুল কায়েস। জাতীয় দলের এ ওপেনার ইশান্ত শর্মার তৃতীয় শিকারে পরিনত হন। থার্ড স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন কায়েস। প্রথম ইনিংসে ৪ রান করা ইমরুল দ্বিতীয় ইনিংসে ফেরেন ৫ রানে।
বিশ বছর ধরে টেস্ট খেলার পরও সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে সেভাবে রপ্ত করতে পারেনি বাংলাদেশ। যে কারণে ভারতের মাঠে দুই টেস্টের সিরিজে ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়ের শঙ্কায় পড়েছে মুমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন দলটি।