শ্যামলবাংলা ডেস্ক : নারী জাগরণের পথিকৃৎ কবি সুফিয়া কামালের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৯ সালের আজকের এ দিনে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুর পর তাকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যদায় সমাহিত করা হয়। বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে তিনিই প্রথম ওই সন্মান লাভ করেন। সুফিয়া কামাল ছিলেন নারী আন্দোলনের পথিকৃৎ এবং সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে এক অকুতোভয় যোদ্ধা। তিনি ছিলেন মানবতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে এবং অন্যায়, দুর্নীতি ও অমানবিকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার এক নারী। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সৃষ্টিকর্ম ও চিন্তা-চেতনার মধ্য দিয়ে রাজনীতিবিদ, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিকর্মীদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন তিনি।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক, উইমেনস ফেডারেশন ফর ওয়ার্ল্ড পিস ক্রেস্ট, বেগম রোকেয়া পদক, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ স্বর্ণপদক ও স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরষ্কারে ভূষিত হন। এছাড়া ১৯৬১ সালে পাকিস্তান সরকার তাকে জাতীয় পুরস্কার ‘তঘমা-ই-ইমতিয়াজ’ দেয়। কিন্তু ১৯৬৯ সালে বাঙালীদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে তা বর্জন করেন তিনি।
সুফিয়া কামালের লেখা কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে সাঁঝের মায়া, মায়া কাজল, মন ও জীবন , দিওয়ান, অভিযাত্রিক ইত্যাদি। ‘কেয়ার কাটা’ নামে একটি গল্পগ্রন্থ ছাড়াও ভ্রমন কাহিনী, স্মৃতি কথা শিশুতোষ এবং আত্মজীবনীমূলক রচনাও লিখেছেন তিনি। ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদে এক অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন নারী আন্দোলনের পথিকৃৎ, বিশিষ্ট কবি সুফিয়া কামাল।