খোরশেদ আলম ॥ শেরপুরে লবণ সংকটের গুজবে লবণ কেনার ধুম পড়ে গেছে। ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুর থেকে জেলার সর্বত্র লবণ সংকটের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। ওই গুজবে লোকজন প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত লবণ কিনতে শুরু করে। এতে লবণের চাহিদা বেড়ে যায়। এ গুজবকে পুঁজি করে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মূল্যে লবণ বিক্রি করতে শুরু করে। দেশে পেঁয়াজের ঝাঁঝ মিটতে না মিটতেই লবণ সংকট গুজবে স্থানীয় প্রশাসনও নড়েচড়ে বসেছে।
বিকেলে জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুবের নির্দেশনায় ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে লবণ সংকট গুজব তদারকিতে মাঠে নামে। ওই সময় লবণের মূল্য তালিকা টানানো না থাকায় অতিরিক্ত মূল্যে লবণ বিক্রি ও মোবাইল কোর্টকে সহযোগিতা না করায় ২ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ঝিনাইগাতী বাজারে নুরুল আমিন নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা ও আজিজুর রহমানের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবেল মাহমুদ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই ২ ব্যবসায়ীর নিকট থেকে জরিমানা আদায় করেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে তদারকি করে।
এদিকে নকলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে ভোক্তা অধিকার আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ওইসময় লবণের অতিরিক্ত মূল্য রাখার অপরাধে এক দোকানদারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশে লবণের পর্যাপ্ত পরিমাণ মজুদ রয়েছে। সেইসাথে শেরপুরবাসীকে লবণের মূল্যবৃদ্ধির গুজবে কান না দিতেও অনুরোধ করা হয়েছে এবং কোথাও অতিরিক্ত মূল্যে লবণ বিক্রয়ের খবর পেলে জেলা প্রশাসনকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
