শ্যামলবাংলা ডেস্ক : নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর করায় এর বিরোধিতা করে বিভিন্ন জেলায় বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পরিবহন শ্রমিকরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ১৮ নভেম্বর সোমবার সকাল থেকে তাদের হঠাৎ এই কর্মসূচির কারণে যাত্রীরা বেকায়দায় পড়ে। বিভিন্ন জেলায় বাস বন্ধ থাকলেও রাজধানীতে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

রাজশাহী :
হঠাৎ করে রাজশাহী থেকে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার সকাল থেকে রাজশাহীর সঙ্গে বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিকরা। এতে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছে মানুষ। মোটর শ্রমিকরা নগরীর শিরোইল ও নওদাপাড়া বাসটার্মিনাল ও ভদ্রা ছাড়াও নগরীর প্রবেশপথ তালাইমারী ও কাশিয়াঙ্গা মোড়ে অবস্থান নিয়ে বাস চলাচলে বাধা ও নতুন সড়ক পরিবহন আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
এ ব্যাপারে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এটা ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ডাকা কোনো ধর্মঘট নয়। সকাল থেকে শ্রমিকরা নিজেরাই বাস বন্ধ রেখেছে। রাজশাহীর মালিকদের বাস দু’একটি করে নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে ছেড়ে গেছে। তবে বাইরের জেলার মালিকদের বাসগুলো রাজশাহী আসছে না। বাস চলছে না রাজশাহী-নওগাঁ রুটে। এছাড়া রাজশাহী থেকে উপজেলা পর্যায়ে কোনো বাস শহর ছেড়ে যায়নি।

খুলনা :
এদিকে খুলনা থেকেও সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিকরা। সোমবার সকাল থেকে পরিবহন শ্রমিকরা এ ধর্মঘট শুরু করে। এতে দূর-দূরান্তের যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। পরিবহন শ্রমিক নেতারা বলছেন, দুর্ঘটনার মামলায় জামিনযোগ্যসহ সড়ক আইনের কয়েকটি ধারায় সংশোধন চান চালকরা। তাদের দাবি, আইন সংশোধনের পরই এটি কার্যকর করা হোক। এটা না করা পর্যন্ত আমাদের এ কর্মসূচি চলবে। তারা বলেন, সরকারের বিভিন্ন দফতরে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও আইনটি সংশোধন ছাড়াই বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে খুলনায় সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
যশোর :
যশোর-বেনাপোল ও যশোর-সাতক্ষীরার অভ্যন্তরীণ রুটে কোনো যাত্রীবাহী বাস চলাচল না করলেও ঢাকা-কলকাতা ও বেনাপোল থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও দেশের অন্যান্য স্থানে দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে। যশোর জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ বলেন, ২০১৮ সালের সড়ক আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছিলেন তারা। এরপর রবিবার থেকে যশোরের ১৮ রুটের শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। পরে সোমবার অন্যান্য জেলাতেও কর্মবিরতি শুরু হয়।
এদিকে পরিবহন শ্রমিকদের আন্দোলন চলাকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, কোনও মহলের চাপের মুখে সড়ক আইন অকার্যকর করা যাবে না। তবে তিনি জানান, এই আইন যেন সহনীয় পর্যায়ে কার্যকর করা হয়, তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
