টাঙ্গাইল : আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ রবিবার। ১৯৭৬ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাঁকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। রাজধানী ঢাকাসহ টাঙ্গাইলের সন্তোষে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে মওলানা ভাসানীর ভক্ত ও অনুসারীরা। দেশের বাইরে থেকেও অনেকে ইতিমধ্যে সন্তোষে এসে পৌঁছেছেন।
মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী অধিকারবঞ্চিত অবহেলিত মেহনতি মানুষের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় আজীবন নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম করে গেছেন। জাতীয় সংকটে জনগণের পাশে থেকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতেন তিনি। ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে তাঁর জন্ম। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও জীবনের বড় অংশই তিনি কাটিয়েছেন সন্তোষে। ভাসানী কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন।
সন্তোষে মজলুম জননেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ স্থানীয় প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ তাঁর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে।
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচি
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ভাসানীর মাজারে আজ সকাল সাড়ে ৭টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও ক্যাম্পাসের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকেও পুষ্পস্তবক অর্পণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে। বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় বিজিই বিভাগের সেমিনার হলে ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে মওলানা ভাসানীর ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।