শ্যমালবাংলা ডেস্ক : নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারীর আমন্ত্রণে ৪ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট বেলা সাড়ে ১১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন।
বিমান বন্দরে রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হক, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুল আলী, ডিপলোমেটক কোরের ডিন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, ৩ বাহিনীর প্রধান, পুলিশ প্রধানসহ সামরিক ও বেসামরিক পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
নেপালের প্রেসিডেন্ট এবং দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবদুল হামিদকে স্বাগত জানাবেন। সফরকালে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গেওয়ালি, জাতীয় পরিষদের (উচ্চ কক্ষ) চেয়ারম্যান গণেশ প্রসাদ তিমিলসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির কো-চেয়ারম্যান পুষ্প কমল দহল, নেপালি কংগ্রেস পার্টির প্রেসিডেন্ট ও বিরোধী দলীয় নেতা শের বাহাদুর দেউবা এবং প্রধানমন্ত্রী ও নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান কেপি শর্মা ওলি রাষ্ট্রপতি হামিদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন।
এছাড়া, নেপালের প্রেসিডেনশিয়াল হাউজ শীতল নিবাসে দুই দেশের রাষ্ট্রপতির মাঝে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি হামিদ ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য ভক্তপুর দরবার স্কয়ার ও কাঠমান্ডুতে বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করবেন। তিনি ১৪ নভেম্বর পোখারায় যাবেন এবং কাঠমান্ডুতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সংগঠন বাংলাদেশ ক্লাব আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সফরের শেষ দিন ১৫ নভেম্বর চন্দ্রগিরি পাহাড় ভ্রমণে যাবেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি ওই দিন বিকাল ৫টায় ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন এবং তাকে বহনকারী ফ্লাইটটি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকায় অবতরণ করবে। রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিব এবং তার পরিবারের সদস্যরা সফরে তার সাথে থাকছেন। সূত্র : ইউএনবি।