ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি ॥ শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সোমেশ্বরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ১৮টি ড্রেজার মেশিন যন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবেল মাহমুদের নেতৃত্বে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদুল হাসানসহ অন্যান্যরা ওই অভিযানে অংশ নেন।
জানা যায়, সীমান্তবর্তী সোমেশ্বরী নদীর ঝিনাইগাতী উপজেলার তাওয়াকুচা ও শ্রীবরদী উপজেলার খাড়ামুড়া এলাকায় স্থানীয় বালুদস্যুরা বেশকিছু দিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল। নিয়মনীতি উপেক্ষা করে বালুদস্যুরা বেপরোয়াভাবে বালু উত্তোলন করায় নদীর দু’পাড় ভেঙে পরিবেশের ভারসাম্য হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়ে। গোয়েন্দা সংস্থার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে সোমেশ্বরী নদীর ওই এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনরা করা হয়।

ওইসময় বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত ১৮ টি ড্রেজার মেশিন আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। সেইসাথে উত্তোলিত প্রায় ১শ ট্রাক সমপরিমাণ বালু আটক করা হয়। আটককৃত বালু কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল হক ও স্থানীয় ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সুজন কুমার সোমের জিম্মায় রাখা হয়।
