শ্যামলবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশের সাফল্যকে স্বীকৃতি দেওয়া ভারতীয় ক্রিকেটার খুব বেশি নেই। হাতেগোনা যে ক’জন ছিলেন তাদের সঙ্গে নতুন যোগ হলেন রোহিত শর্মা। রোববার দিল্লির মতো ভেন্যুতে হেরে গিয়েও প্রশংসায় ভাসালেন বাংলাদেশকে। দ্বিধাহীন চিত্তে জানালেন, বাংলাদেশ ভালো খেলে জিতেছে। এটা কোনো আপসেট নয়। ভারত অধিনায়কের এই প্রশংসা বাংলাদেশের ক্রিকেটের আরও একটি বিজয়। সেদিক থেকে দেখলে রোববার রাতে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দু’বার জিতল বাংলাদেশ। একটি মুশফিকুর রহিমরা মাঠে খেলে এনেছেন; আরেকটি সংবাদ সম্মেলন কক্ষে ভারত অধিনায়কের প্রশংসা ও স্বীকৃতিতে। তাই তো একই মঞ্চে বসে মুশফিকুর রহিমও বললেন, এটি অনন্য জয়।
বাংলাদেশ দিল্লিতে এসেছে হাজারো চাপ মাথায় নিয়ে। বিতর্ক পিছু ধাওয়া করেছে গত পরশু দিনও। দিল্লির টি২০ জিতে সেসব মুছে দিলেন মুশফিকরা। প্রাণ ফেরালেন দেশের ক্রিকেটে। দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে বিজয়ের ম্যাচে সেরা হলেন মুশফিক। এই জয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে টাইগার শিবিরে। এবার সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখেন তারা। টাইগার স্কোয়াডের সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিক ৬০ রান করে ছিলেন অপরাজিত। স্বাগতিক দর্শকরাও মুগ্ধ হয়েছেন তার খেলা দেখে। তাই তো মুশফিকও এই জয়কে প্রথম সারিতে রাখলেন, ‘টি২০-তে ভারতের বিপক্ষে প্রথম জিতেছি। তাও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে এবং বিশ্বের সেরা দলের বিপক্ষে। সেদিক থেকে বলব, এই জয়ের তুলনা হয় না।’
বাংলাদেশ ম্যাচের শুরু থেকেই ভালো খেলে। বোলাররা দারুণ ছন্দ দেখান। লাইন-লেন্থ ধরে বোলিং করে রান চেক দিয়ে গেছেন শেষ পর্যন্ত। যে কারণে ভারতকে নির্ধারিত ওভারে ১৪৮ রানে বেঁধে রাখা গেছে। বোলারদের অসম্পন্ন কাজটা শেষ করেন ব্যাটসম্যানরা। দ্রুত ওপেনিং জুটি ভাঙলেও দ্বিতীয় উইকেটে অভিষিক্ত নাঈম শেখ ও সৌম্য সরকার জুটি করেন। এরপর সৌম্য আর মুশফিক মিলে দলকে নিয়ে যান জয়ের খুব কাছে। মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে খেলা শেষ করে ফেরেন মুশফিক। এক কথায়, ভারতের বিপক্ষে সমন্বিত পারফরম্যান্স করেছে বাংলাদেশ।
মুশফিকুর রহিম তাই কৃতিত্ব দিলেন একাদশের সবাইকে, ‘তরুণরা খুব ভালো করেছে। তারা মেধাবী, ভালো খেলার সামর্থ্য আছে। আমি বলব, বোলিংটা খুব ভালো হয়েছে। এদিন মাহমুদুল্লাহ ভাইয়ের সিদ্ধান্তগুলো ভালো ছিল। যখন যাকে বোলিংয়ে আনা দারকার ছিল, সেটাই করেছেন। তবে ১৪৯ রানের টার্গেট কম নয়। এই পিচে রান তাড়া করা সহজ ছিল না; বিশেষ করে ভারতের স্পিনারদের বিপক্ষে। আমি ও সৌম্য সেটা করতে পেরেছি।’
বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা দেশ ছাড়ার আগে বলে এসেছিলেন, সাকিবের জন্য ভারতে ভালো খেলতে চান তারা। শুরুটা প্রত্যাশামতোই হলো। এবার সিরিজ জিতে বিজয় উদযাপন করার ইচ্ছা মুশফিকদের, ‘আমরা আন্ডারডগ হিসেবে এখানে এসেছি। আমাদের হেড কোচকে অবশ্যই ধন্যবাদ জানাই। গত কিছুদিন আমাদের ক্রিকেটে যা চলছিল সেখান থেকে তিনি যেভাবে দলকে একত্রিত করতে পেরেছেন, তাকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। এখন সিরিজ জিততে চাই।’