এক মাসের ব্যবধানে দাম ৩ গুণ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরে এক মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ৩ গুণ বেড়েছে। বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১১০ টাকা আর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ এক মাস আগে এই পেঁয়াজের দাম ছিল প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ৪০ টাকা। পেঁয়াজের এমন লাগামহীন দাম বৃদ্ধির কারণে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস ওঠে গেছে।
সোমবার দুপুরে শেরপুর স্টেডিয়াম মার্কেটের পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। ওইসময় পাইকারি ব্যবসায়ী মেসার্স রহমান ট্রেডার্সের মালিক আব্দুর রহমান বলেন, ভারত প্রথমে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি করায় ও পরে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় দেশি পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। এক মাস আগেও তিনি পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন প্রতি কেজি ৪০ টাকায়। তিনি আরও বলেন, পাবনার মোকামে প্রতিদিনই দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। সোমবার পাবনার মোকামে ১১২ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনেছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে বিকেলে শহরের নয়আনী বাজার এলাকার খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মুনতাজ আলী বলেন, ৩ দিন আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০০ টাকা দরে কিনেছেন। আজ কিনেছেন ১১০ টাকায়। তাই এখন প্রতি কেজি ১২০/১৩০ টাকায় বিক্রি করছেন। পেঁয়াজ বেশি দামে কেনার ফলে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে তাঁদের (ব্যবসায়ী) কিছু করার নেই। তবে পাইকারি আড়তে দাম কমালে তিনিও কম দামে বিক্রি করবেন বলে জানান। আরেক খুচরা বিক্রেতা আব্দুস সালাম বলেন, স্টেডিয়াম মার্কেটের পাইকারি আড়ত থেকে তিনি ১১০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছেন। এখন বাছাই করা পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা ও সাধারণ মানের পেঁয়াজ ১১৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন।
তবে নয়আনী বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলেও কতিপয় অসাধু আমদানীকারক অধিক লাভের আশায় পেঁয়াজের দাম অনৈতিকভাবে ও অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে দিয়েছেন। যার চাপ পড়েছে ভোক্তাদের ওপর।
শেরপুর সদরের বাজিতখিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বলেন, ‘পেঁয়াজের এমন অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে আমাদের নাভিশ্বাস ওঠে গেছে। পেঁয়াজের মূল্য কমাতে ও সহনীয় পর্যায়ে আনতে আমরা সরকারের কঠোর নজরদারি ও তদারকির আহবান জানাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফিরোজ আল মামুন বলেন, পেঁয়াজের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
