চড়ুইভাতি
সোহেল পারভেজ
আতা পাতা কচুর পাতা বালুর বাঁধা ঘর
আজকে পুতুল বিয়ে হবে আসবে পুতুল বর
বর আসবে তাই ঘর সাজাতে ব্যস্ত বাড়ীর সবে
বসার ঘরের সাথে আবার খাবার ঘরও হবে
হবে দেয়াল করে খেয়াল পাতায় হবে ঢাকা
বালি দিয়েই পোলাও হবে বালিতেই সব মাখা
মাখামাখি পাকাপাকি শেষ যে বিয়ের কথা
বালির বাড়িই বিয়ে হবে এই কথাটিই যথা
যথা যতো কথা ছিলো ছোট্ট বেলার খেলা
চড়ুইভাতির সাথে ছিলো সকাল সন্ধ্যা বেলা
বেলার সাথে খেলারঘর গড়তো গাছের আড়ে
সূর্য্যি মামার তাপটা যেনো লাগে ভারে ভারে
ভারে ভারে দিন যে গেলো গেছে চড়ুইভাতি
হারিয়ে গেছে বালির খেলা গেছে খেলার সাথী।
বিঃদ্রঃ ভারে ভারে মানে আস্তে আস্তে (আঞ্চলিক ভাষা)।
…………………………………………………………
মোরগ সমাচার
সোহেল পারভেজ
********
ডাকতো মোরগ হাঁকতো কতো
সুর তুলে আর কু-ক-কু-রু-কু-র ডাক তুলে
দ্বার খুলে,,,,,,,,,,,,
ঘাড় তুলে তাই দেখতো মালিক
রাত পেরিয়ে ভোর হলে।
মোরগ এখন বন্দি খাঁচায় জীবন বাঁচায়
মেকি খাবার ভোগ করে
অলস জীবন তাইতো এখন চোদ্দশিকে
যোগ করে,,,,,,,,,,,,
দাঁড়িয়ে বসে থেকে মাথা এখন শুধু ঝিম ধরে
পাড়ায় পাড়ায় মুরগি তাড়ায় আর শুনি না
মোরগ হারায় অন্য পাড়ায় মুরগি দেখে
যায় না হেঁকে,,,,,,,
এঁকে বেঁকে দুই পায়ের-ই ছন্দ তুলে
নিজের কাজ তাই নিজে এখন গেছে ভুলে।
ডিম পেড়ে বাসা ছেড়ে
মুরগি এখন করে কাজ কারুকাজ
আর ইচ্ছে যা,,,,,,
তাইতো এখন বাসায় বসে সময় চষে
মোরগ ডিমে দিচ্ছে তা।
