শ্যামলবাংলা ডেস্ক : যুবলীগের আসন্ন সম্মেলনকে সামনে রেখে আওয়ামী যুবলীগের নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০ অক্টোবর রবিবার বিকেল ৫টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সূত্র জানায়, এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যুবলীগের আসন্ন কংগ্রেসে কে সভাপতিত্ব করবেন। কারণ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কংগ্রেসে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্ব করার কথা থাকলেও অভিযোগ ওঠায় তাকে দিয়ে সভাপতিত্ব করা হচ্ছে না। এছাড়া সম্মেলনে যুবলীগের কমিটিতে যারা আসবেন তাদের বয়সসীমা কী হবে সেটিও এ বৈঠকে নির্ধারণ করা হয়েছে। নেতাদের বয়সসীমা ৪৫ থেকে ৫৫ এর মধ্যে যেকোনো একটি নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে কংগ্রেসের প্রস্তুতির জন্য আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে এই বৈঠকে।
পাশাপাশি সার্বিক বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুব নেতাদের দিক নির্দেশনা দেন। ওই বৈঠকে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ শামসুল আবেদীন, শহিদ সেরনিয়াবাত, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মো. ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন, আবদুস সাত্তার মাসুদ, মো. আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসাইন, আলতাব হোসেন বাচ্চু, মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, আবুল বাশার, মোহাম্মদ আলী খোকন, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার নিখিল গুহ, শাহজাহান ভুঁইয়া মাখন, অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু, ডা. মোখলেছুজ্জামান হিরু, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহি, সুব্রত পাল, মনজুর আলম শাহীন, নাসরিন জাহান চৌধুরী শেফালী, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম জাহিদ, আমির হোসেন গাজী, মুহা. বদিউল আলম, ফজলুল হক আতিক, আবু আহম্মেদ নাসিম পাভেল, আসাদুল হক, এমরান হোসেন খান, আজহার উদ্দিন ও ফারুক হাসান তুহিন উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনের প্রেসিডিয়াম, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এ বৈঠকে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি, শেখ ফজলুর রহমান মারুফ ও শেখ আতিয়ার রহমান দিপু উপস্থিত ছিলেন না। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি-অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় বৈঠকে তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
