মুন্সীগঞ্জ : পদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল সেতুর অগ্রগতি ৮৪ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৭৫.৮৪ শতাংশ, প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭৪ শতাংশ। আগামী ২০২১ সালের জুনের মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জের দোগাছিতে পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়া-১ এর ভিজিটরস সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ওইসব কথা বলেন তিনি৷
সেতুমন্ত্রী বলেন মূল সেতুর ৪২ পিয়ারের মধ্যে ৩২টি সম্পূর্ন হয়েছে বাকি ১০টির কাজ চলমান রয়েছে। ৪১টি ট্রাসের মধ্যে চীন থেকে মাওয়ায় ৩১ টি এসে পৌছেছে। ২ হাজার ৮৯১ টি রেলওয়ে স্ল্যাব তৈরি হয়েছে, ৩৬১ টি স্থাপন করা হয়েছে। মাওয়া ও জাজিরা ভায়াডাক্টের পাইলিং, পিয়ার ও পিয়ার ক্যাপে কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে গার্ডার এবং রেলওয়ে স্ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে। রেলওয়ে ভায়াডাক্টের জন্য ৮৪ টি আই গার্ডারের মধ্যে ৮৪ টিই সম্পূর্ন হয়েছে, যার মধ্যে ৪২ টি জাজিরা প্রান্তে স্থাপন করা হয়েছে। মূল সেতুর চুক্তি মূল্য ১২,১৩৩.৩৯ কোটি টাকার মধ্যে ৯,২০১.৯৩ টাকা ব্যয় হয়েছে।
নদী শাসনের বিষয়ে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, নদী শাসনের বাস্তব অগ্রগতি ৬৩ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৫০.৪০ শতাংশ, ১৪ কিলোমিটার নদী শাসনের মধ্যে ৬.৬০ শতাংশ সম্পূর্ন হয়েছে, নদী শাসন কাজের চুক্তিমূল্যের ৮৭০৭.৮১ কোটি টাকার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৪,৩৮৮.৪৬ কোটি টাকা।
এছাড়া পদ্মা সেতু প্রকল্পের ২১শ ৫৯ একর অব্যবহৃত জমি পতিত না রাখে সেনাবাহিনীকে দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। এবিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। সে জমিতে সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে খামার তৈরির মাধ্যমে দুধ ও মাংস উৎপাদন করা হবে। গবাদি পশুর প্রজনন ও জাতেরর উন্নয়ন কাজে কর্মসংস্থান তৈরি হবে। জাতীয় অর্থনীতি জিডিপিতেও এটি অবদান রাখবে।
মন্ত্রী বলেন, আমিতো মরেই গেছিলাম, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকে আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে ফিরেছি। পদ্মা সেতু তৈরি দেখে যেতে পারবো। ওইসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সেতু মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ার ইসলাম, পদ্মা বহুমুখী সেতুর পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম (বার) প্রমুখ।।
