মইনুল হোসেন প্লাবন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার : পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের শেষ ধাপে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এ অনুষ্ঠিত শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রত্যাশিত জয় পেয়েছেন মহিলা ভাইস- চেয়ারম্যান প্রার্থী, শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী সাবিহা জামান শাপলা। মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে সাবিহা জামান শাপলা (কলস) ১ লক্ষ ৬ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বিদায়ী ভাইস-চেয়ারম্যান, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী শামীম আরা বেগম (হাঁস) প্রতীকে পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৮৩৬ ভোট।
জানা যায়, শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী সাবিহা জামান শাপলার জয় প্রত্যাশিতই ছিলো। কারণ, বর্তমান মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান শামীম আরা বেগম টানা দু’বার নির্বাচিত হলেও মানুষের সেবা-সাক্ষাৎ-যোগাযোগ করার দিকে থেকে অনেকটা পিছিয়ে ছিলেন তিনি। সেবা থেকেও বঞ্চিত ছিলেন অনেক এলাকার মানুষ। অন্যদিকে, সদ্য বিজয়ী সাবিহা জামান শাপলা বিগত দিনে শেরপুর প্রেসক্লাবের দু’দফায় সাধারণ সম্পাদক, একজন শিক্ষিকা, নারী নেত্রী ও একজন সমাজ কর্মী হিসেবে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য পর্যায়ে। তিনি নতুন প্রার্থী হিসেবে জনগনের মন জোগাতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাই, জনগন নতুন ও পুরাতন প্রার্থীর মধ্যে কম্পেয়ার করে শাপলাকে বেছে নেয়। প্রত্যাশিত বিজয়ের মালা উঠে শাপলার গলায়।
বিজয়ের পর নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে শাপলা বলেন, সাংবাদিক সমাজসহ শেরপুরের সামাজিক-সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সাথে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছি। সেই সুত্রে, প্রশাসনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে উঠা বসার সুযোগ হয়েছে। সেই ভিত্তি ধরেই আমার এগিযে চলা, এগিয়ে আসা। আগামী দিনেও সকলকে নিয়ে মানুষের সেবা করতে চাই। আর মানুষের সেবার মধ্য দিয়েই জীবনটা কাটাতে চাই। এক্ষেত্রে প্রয়োজন সকলের সার্বিক সহযোগিতা।
এদিকে, পুরুষ ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বড় ধরনের চমক দেখিয়েছেন আশরাফুল আলম মিজান। তিনি তালা প্রতীক নিয়ে ৫৫ হাজার ৭১৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনোয়ারুল ইসলাম (চশমা) প্রতীকে পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৫০৭ ভোট। এছাড়া আল হেলাল (টিউবওয়েল) ৩৩ হাজার ৮৪৭ ভোট, মোহাম্মদ মোছা মিঞা (মাইক) ১০ হাজার ৮৯২ ভোট ও জুলহাস উদ্দিন (উড়োজাহাজ) ১০ হাজার ৬০ ভোট পেয়েছেন। কিন্তু, নির্বাচনী মাঠে আশরাফুল আলম মিজানের পক্ষে জোড়ালো কোন সাড়া-শব্দ না থাকলেও মানুষের হাতে-পায়ে ধরে একেবারে শেষ মুহূর্তের প্রচারনায় তিনি ভোটারদের মন জয় করতে পেরেছিলেন বলে ফলাফল তার দিকে যায়।
এক প্রতিক্রিয়ায় আশরাফুল আলম মিজান বলেন, এ বিজয় জনগনের। জনগনের ভালবাসার এ ঋণ আমি সেবা করার মাধ্যমের শোধ করবো। সুখে-দুঃখে, বিপদে-আপদে আমি সকলের পাশে দাঁড়াবো। এলাকার উন্নয়নে নিজেকে সপেঁ দিবো।
উল্লেখ্য, ১৪ অক্টোবর সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শুকুর মাহমুদ মিঞা তার অফিস কক্ষে ওই ফলাফল ঘোষণা করেন।
এ উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬১ হাজার ২৮২ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৭৭ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৮১ হাজার ৬০৫ জন। মোট ১৪০ ভোটকেন্দ্রের ভোটকক্ষ সংখ্যা ৯৫৩ টি।
