স্টাফ রিপোর্টার ॥ ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগের দিন বিভিন্ন অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মাসুদ। ১৩ অক্টোবর রবিবার বিকেলে শেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জেলা বিএনপি আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি প্রার্থী মাসুদ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শফিকুল ইসলাম মাসুদ অভিযোগ করেন, ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় ঠেকাতে ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হুইপ আতিউর রহমান আতিক নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে এলাকায় অবস্থান করেছেন এবং ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসনের লোকদের নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করাতে চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। সদর উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের নিয়ে নৌকা প্রতীকের পক্ষে মোটর সাইকেল শোভাযাত্রাসহ নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর পরও ওইসব শিক্ষকদের বিভিন্ন কেন্দ্রে নির্বাচনী দায়িত্বে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয় অন্তত: ৪৯টি কেন্দ্রে ধানের শীষের প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দিয়ে ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে নৌকার লোকজন ঢুকে ইভিএমে নৌকা প্রতীকের বোতাম চাপতে ভোটারদের বাধ্য করা হবে বলে অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। এছাড়া ওইসব এলাকার ধানের শীষের এজেন্টদের ইতোমধ্যে ভয়-ভীতি দেখানো শুরু হয়েছে এবং তাদেরকে মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানী করারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যের বাইরে বিএনপি প্রার্থী মাসুদ আরও বলেন, মানুষ এখন ভোট প্রদানে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। তাই ভোট কেন্দ্রে যেতে চায় না। তবুও আমরা সাধারণ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট কেন্দ্রে আসার জন্য অনুরোধ করেছি। যেহেতু এবার ইভিএমে নির্বাচন, যদি সাধারণ ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তাহলে ধানের শীষের জয় সুনিশ্চিত। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিএনপি হেরে গেলেও সে ফলাফল মেনে নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, দীর্ঘদিন পর কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশে শেষ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। এ নির্বাচন আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করার আন্দোলনের একটি অংশ। তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের ভূমিকা সন্তোষজনক। এবারও যদি কোন কারচুপি হয়, তাহলে সরকার ও ইসির ইভিএম প্রক্রিয়াও কলংকিত হবে। ভবিষ্যতে আর কেউ ভোট দেয়ার ব্যাপারে প্রশাসন ও সরকারের উপরে ভরসা রাখতে পারবে না। তাই নির্বাচন সুষ্ঠু করে ভোট প্রদানে সবার আস্থা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফজলুল হক লাভলু, সাইফুল ইসলাম স্বপন, এডভোকেট মোখলেছুর রহমান জীবন, এডভোকেট সামিউল ইসলাম, এডভোকেট খন্দকার মাহবুবুল আলম রকীব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমকে মুরাদুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক মামুনুর রশিদ পলাশসহ দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
