শ্যামলবাংলা ডেস্ক : নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাজেটে একশ’ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যেখানে নদী ভাঙন হবে সেখানেই ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। নদীগুলোতে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে আমরা সেগুলো ড্রেজিং করছি। তাছাড়া ভাঙন রোধে নদীশাসন ও বাঁধ দেওয়ার কাজ চলছে। ১৩ অক্টোবর রবিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের উদ্বোধীন অনুষ্ঠানে তিনি ওই কথা বলেন। ওইসময় প্রধানমন্ত্রী ৬৪ জেলায় ১১ হাজার ৬০৪টি দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি ও ১৪ জেলায় ১০০টি আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কর্তব্য মানুষের পাশে দাঁড়ানো। দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে জাতির পিতা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করেছিলেন। তৎকালীন রেডক্রসকে সঙ্গে নিয়ে সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। ওইসময় ৪৫ হাজার ভলান্টিয়ারকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল। পরে তারা দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন এলাকায় কাজ করেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালে যখন ঘূর্ণিঝড় হয়, তখন আমি সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা। ওইসময় এক অধিবেশনে সরকারদলীয় নেতা বলেছিলেন, ঘূর্ণিঝড়ে যত মানুষ মরার কথা ছিল, তত মানুষ মরে নাই। তখন আমি বলেছিলাম, কত মানুষ মরার কথা ছিল, আর কত মানুষ মরেছে? যেকোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সরকার সজাগ না থাকলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যখনই সরকারে এসেছি, দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিয়েছি। দুর্যোগের সময় প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে আমরা সজাগ রয়েছি।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, দেশে খরা, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিকম্পের মতো বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার আমরা তা করছি। ইতোমধ্যে আমাদের এসব পদক্ষেপ আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। অনেকেই বাংলাদেশের কাছ থেকে দুর্যোগ মোকাবিলার বিষয়ে জানতে চায়। তারা মনে করে আমাদের কাছ থেকে শেখার আছে। তাই বাংলাদেশ এখন দুর্যোগ মোকাবেলার ক্ষেত্রেও রোল মডেল। নেপালে ভূমিকম্পের সময় আমরা তাদের সৈয়দপুর এয়ারপোর্টটি ব্যবহার করতে দিই। প্রতিবেশী দেশগুলো দুর্যোগের সময় এই বিমানবন্দরটি ব্যবহার করতে পারবে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে একে অপরকে সহযোগিতা করা আমাদের দায়িত্ব।
