স্টাফ রিপোর্টার ॥ পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের শেষ ধাপে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এ অনুষ্ঠিতব্য শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেষ দিনের প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে নির্বাচনী হাওয়া। ১২ অক্টোবর শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালানোর সুযোগ থাকায় এদিন শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থীগণসহ তাদের কর্মী ও সমর্থকরা। অন্যান্য দিনের চেয়ে এদিন গণসংযোগ, পথসভা ও ব্যাপক মাইকিং প্রচারণা ছিল লক্ষ্যণীয়। অন্যদিকে এ অঞ্চলে এই প্রথম ইভিএম পদ্ধতির এ নির্বাচনে নানা বিভ্রান্তির পরও ইতোমধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় কেবল বিএনপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকই নয়, সাধারণ ভোটারদের মাঝেও উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির ৩ প্রার্থীসহ ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম (নৌকা), বিএনপি মনোনীত জেলা যুবদলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মাসুদ (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টি মনোনীত জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইলিয়াস উদ্দিন (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, সাবেক জিএস মিনহাজ উদ্দিন মিনাল (মোটরসাইকেল) ও পদত্যাগী ভাইস-চেয়ারম্যান, সাবেক ভিপি বায়েযীদ হাসান (আনারস) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে পুরুষ ভাইস-চেয়ারম্যান পদে সদর উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আল হেলাল (টিউবওয়েল), সাবেক ভিপি মোহাম্মদ মনোয়ারুল ইসলাম (চশমা), চেম্বার অব কমার্সের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ মোছা মিঞা (মাইক), শ্রমিক নেতা জুলহাস উদ্দিন (উড়োজাহাজ) ও আশরাফুল আলম মিজান (তালা) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। এছাড়া মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বিদায়ী ভাইস-চেয়ারম্যান, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী শামীম আরা বেগম (হাঁস) ও শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী সাবিহা জামান শাপলা (কলস) প্রতীকে লড়ছেন।
উল্লেখ্য, আগামী ১৪ অক্টোবর ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬১ হাজার ২৮২ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৭৭ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৮১ হাজার ৬০৫ জন। মোট ১৪০ ভোটকেন্দ্রের ভোটকক্ষ সংখ্যা ৯৫৩ টি।
