স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ১৪ অক্টোবর সোমবার ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে অনুষ্ঠিত হবে শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। ইভিএম পদ্ধতিতে শেরপুর জেলায় এটিই প্রথম নির্বাচন। এ নির্বাচনে ভোট প্রদানের কলাকৌশল সম্পর্কে ভোটারদের সম্যক ধারণা দিতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে ১২ অক্টোবর শনিবার ১৪০টি কেন্দ্রে পূর্ব প্রস্তুতিমূলক ভোট বা মক ভোটিং অনুষ্ঠিত হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মক ভোটিং অনুষ্ঠিত হয়। ইভিএম পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে কয়েকটি কেন্দ্রে উৎসুক ভোটারদের ভাল উপস্থিতি দেখা গেলেও আবার কয়েকটি কেন্দ্রে সারাদিনে হাতে গোনা কয়েকজন ভোটার এসেছিলেন। কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকারী প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তারা ভোটারদের ইভিএমে ভোট প্রদানের পদ্ধতি দেখান।
শনিবার বিকেল ৪টায় সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমী কেন্দ্রে কথা হয় শহরের গোপালবাড়ী এলাকার ভোটার দীপা সাহার সঙ্গে। তিনি বলেন, ইভিএমে খুব সহজে ও স্বল্প সময়ে ভোট দেওয়া যায়। কোনো জটিলতা নেই। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে আঙুলের ছাপ মেলানোর পর ৩টি আলাদা বোর্ডে ভোট প্রদান করতে হয়। সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমী কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা অমিত শাহরিয়ার বলেন, তার কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৭৯০ জন। তবে মক ভোটিংয়ে অংশ নেন মাত্র ৪০ জন। অপরদিকে শেখহাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, তার কেন্দ্রে ৩ হাজার ১১৩ জন ভোটারের মধ্যে মক ভোটিংয়ে ২৪৩ জন ভোটার অংশ নেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শুকুর মাহমুদ মিঞা বলেন, ইভিএমে কারচুপি করার কোন সুযোগ নেই। কেন্দ্রে ভোটাররা আসবেন এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে ভোট প্রদান করবেন।
