শ্যামলবাংলা ডেস্ক : বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের ফাঁসিসহ ৭ দফা দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ওই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বিকাল ৫টা পর্যন্ত বুয়েটে অবস্থান করবেন বলে জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বুয়েট ক্যাফেটেরিয়ার সামনে জড়ো হন। সাড়ে ১০টার দিকে তারা সাত দফা দাবির কথা জানিয়ে ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহীদ মিনার হয়ে শেরে বাংলা হলের ভেতরে প্রদক্ষিণ করে আহসান উল্লাহ হল, কাজী নজরুল ইসলাম হলের সামনের চত্বর ঘুরে ফের শহীদ মিনারে আসে।
সেখানে শিক্ষার্থীরা গনমাধ্যম কর্মীদের জানান, বুয়েট উপাচার্য বিকাল ৫ টার মধ্যে ক্যাম্পাসে এসে জবাবদিহিতা না করা পর্যন্ত তারা শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান করবেন।
তাদের দাবিগুলো হলো, খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও আজীবন বহিষ্কার করতে হবে, আবাসিক হলগুলোতে র্যাগিংয়ের নামে ও ভিন্নমত থামানোর নামে নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে, আগের ঘটনাগুলোর বিচার করতে হবে, আবরার ফাহাদের মামলার খরচ এবং তার পরিবারকে ব্যয় চালানোর মতো খরচ দিতে হবে, ভিসিকে বিকাল ৫টার মধ্যে ক্যাম্পাসে এসে জবাবদিহিতা করতে হবে এবং শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টকে আগামী ১১ অক্টোবরের মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারের সামনে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, ৬ অক্টোবর রবিবার রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আবরার বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বারডাঙ্গা গ্রামে।
