স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুর শহরের চকপাঠক এলাকার স্টেডিয়াম ও নয়আনী বাজার পেঁয়াজের আড়তে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে
শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ফিরোজ আল মামুনের নেতৃত্বে ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত হয়। ওইসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পেঁয়াজের পাইকারী আড়ত ও খুচরা দোকান পরিদর্শন করেন এবং নয়আনী বাজার এলাকার ব্যবসায়ী মোঃ ইদ্রিস মিয়াকে দোকানে মূল্য তালিকা না রাখার অভিযোগে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
ওই ব্যবসায়ী তাৎক্ষণিকভাবে জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন। অভিযান কালে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক আল মাসুদসহ সদর থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পরে পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা থেকে ৭৫ টাকা (৫ কেজি ৩৫০ টাকা) কেজি দরে বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম ৮০ থেকে ৯০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শেরপুর শহরের নয়আনী বাজার এলাকার খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মুনতাজ আলী বলেন, তিনি দুই দিন আগে ৮০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছেন। এখন ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। পাইকারী আড়তে দাম কমালে আমরাও কম দামে বিক্রি করবো।
আরেক পেঁয়াজ খুচরা বিক্রেতা সিদ্দিক মিয়া বলেন, তিনি সকাল ১১টার দিকে স্টেডিয়ার মার্কেটের পাইকারী আড়ত থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছেন। এখন বাছাই করা পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি দরে এবং সাধারণ মানের পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
তবে পেঁয়াজ কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলেও বাংলাদেশে এখন যে সমস্ত পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে এগুলো পূর্বের মূল্যে কেনা।
তাই কতিপয় অসাধু বড় আমদানী কারক অধিক লাভের আশায় পেঁয়াজের দাম অনৈতিকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছেন। যার চাপ পড়েছে ভোক্তাদের উপর।
