শ্যামলবাংলা ডেস্ক : মহা ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে ৫ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার। ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার বিজয়া দশমিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় এই উৎসব। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে দেশে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। পূজা আনন্দমুখর করতে দেশজুড়ে পূজামণ্ডপ বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে।
রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার, র্যাব ও বিডিআর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
ঢাকেশ্বরী মন্দিরে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দেশের পূজামণ্ডপে দুর্গাদেবীর বোধন অনুষ্ঠিত হয়। শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রাক্কালে ওই বোধনের মাধ্যমে দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙার বন্দনায় পূজা করা হয়। মণ্ডপে-মন্দিরে পঞ্চমীতে সন্ধ্যায় ওই বন্দনা অনুষ্ঠিত হয়।
এবার সারাদেশে ৩১ হাজার ৩৯৮ পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা গত বছরের চেয়ে ৪৮৩টি বেশি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। ঢাকা মহানগরীতে এবার পূজামণ্ডপের সংখ্যা ২৩৭, যা গত বছরের চেয়ে তিনটি বেশি।
এ বছর ঢাকা বিভাগে ৭ হাজার ২৭১, চট্টগ্রাম বিভাগে চার হাজার ৪৫৬, সিলেট বিভাগে দুই হাজার ৫৪৫, খুলনা বিভাগে চার হাজার ৯৩৬, রাজশাহী বিভাগে তিন হাজার ৫১২, রংপুর বিভাগে পাঁচ হাজার ৩০৫, বরিশাল বিভাগে এক হাজার ৭৪১ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে এক হাজার ৬৩২ মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
পুরাণ মতে, রাজা সুরথ প্রথম দেবীদুর্গার আরাধনা শুরু করেন। বসন্তে তিনি পূজার আয়োজন করায় দেবীর এ পূজাকে বাসন্তী পূজা বলা হয়। কিন্তু রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে লংকা যাত্রার আগে শ্রী রামচন্দ্র দেবীর পূজার আয়োজন করেছিলেন শরৎকালের অমাবস্যা তিথিতে, যা শারদীয় দুর্গোৎসব নামে পরিচিত। দেবীর শরৎকালের পূজাকে এজন্যই হিন্দুমতে অকাল বোধনও বলা হয়।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।