বৃহস্পতিবার , ৩ অক্টোবর ২০১৯ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

বিশিষ্ট কবি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান’র কবিতাগুচ্ছ

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
অক্টোবর ৩, ২০১৯ ১:২৫ অপরাহ্ণ

Shamol Bangla Ads

 

জানিনা এ কেমন রঙের মেলা
স্রষ্টার এ কেমন সৃজনের খেলা
~~~~\\\\~~\\\\~~~~\\\~~~~\\\~
মোহাম্মদ মিজানুর রহমান
*******************
বেঁচে থাকার প্রবল আগ্রহ থাকার
পরও মানুষকে মরে যেতে হয়। কেননা
এই জন্ম; জন্মের পর
লড়াই করে বেঁচে থাকা-
আবার অবধারিত মৃত্যু:
সবটাই স্রষ্টার ছকে বাঁধা-
অমোঘ নিয়তির ফল।

Shamol Bangla Ads

রঙে রঙে রাঙানো মনের আকাশ
মান-অভিমানের হাজারো কথকতা
ভালোবাসার বিনিসূতোর মালা
সবকিছু সময়ের কফিনে
আদিগন্ত স্বপ্নের বধ্যভূমি হয়ে যায়-
‘মৃত্যুর ধুম্র আলিঙ্গনে ‘!
মুহুর্তে মুহ্যমান মানুষের
দেহমনে রয়না কোন বল।

সুখ-দুঃখকে, স্বপ্ন-দুঃস্বপ্নকে, কষ্ট ও গ্লানিকে সর্বোপরি আনন্দ-বেদনাকে
মেনে নিয়েই সবাই বেঁচে থাকতে চায়-
কেউ মরিবারে নাহি চায়!
এমনকি যারা-
জীবনকে অর্থহীন মনে করে; যারা ‘ভাল্লাগেনা জীবনটাকে’- হা-পিত্যেশের
এমন মাতম করে তারাও। জানিনে-
বিধির এ কোন খেলা!
এ কোন খেয়ালিপনা!!

রঙের এ দুনিয়ায় কোন এক অদৃশ্য মায়াজালে বন্দী সব মানুষ।
সবাই যেন
এক মায়াজালে বৃত্তবন্দী!
এখানে
সবাই আবার সবার প্রতিদ্বন্ধি।।
আবার
এখানে থেকেই সবাই সুখী হতে চায়
তবু কেউ সুখী নয়।
তবুও মায়ার এ জগত ছাড়িবারে
কেহ রাজী নাহি রয়!

প্রাত্যহিকতার তুচ্ছতাচ্ছিল্যে-
তুচ্ছাতিতুচ্ছে আবদ্ধ জীবন সীমাহীন
শুণ্যতার মাঝে নিয়ত খাবি খায়-
আত্মহত্যার মত বাড়াবাড়ি রকমের
প্রকাশও দেখায় অনেকে! তারপরও
রঙের এ দুনিয়ার মায়া ছাড়াতে পারেনা
কেউ-ই।
শেষান্তে সবাই বাঁচার আকুতিতেই ভাসে।
সব মানুষ হারিয়ে যায় মায়ার সর্বগ্রাসে।।

বিস্মাদ উপলব্ধি- থেকে থেকে হানা দেয়
মননে ও মগজে; বুকের জমিনের ঈশান কোনে জমে থাকে হাজারো অব্যক্ত কষ্টের
কথকতা! ভয়ে, কষ্টে, ঘৃণায় বুকে জন্ম নেয়া হাজার কোটি ভাল্লাগেনার মাঝেও
মানুষ:
যে কোন মুল্যে বাঁচিবারে চায়!
মরিবারে কেহ নাহি চায়, হায়!

জানিনা এ কেমন রঙের মেলা।
স্রষ্টার এ কেমন সৃজনের খেলা।।
~~~~\\\\~~\\\\~~~~\\\~~~~\\\~

ধন্য আমি: জন্মেছি বলে এ দেশে
“”””””””””””””””””'”””””””””””””””””””””‘”””””””‘””
মোহাম্মদ মিজানুর রহমান
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
সবুজ ছবির দেশ
আমার ভালোবাসার বাংলাদেশ:
যেখানে বাতাসে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে
বাঙালি সৌরভ।
লাল-সবুজ পতাকার দেশ
আমার প্রাণের বাংলাদেশ:
যে পতাকায় মিশে আছে বাঙালির
অযুত নিযুত গৌরব।।

আমার প্রিয় বাংলাদেশ যেন
অসাধারণ প্রাণবন্ত ভালোবাসার-
এক দুর্দান্ত আয়োজন।
আহা! এ যেন বিন্দু বিন্দু করে গড়ে তোলা এক স্বপ্নসৌধ। স্বপ্ন বাস্তব করে মিটায়-
সবার সকল প্রয়োজন।।

আমার সোনার বাংলাদেশ
এ যেনো আত্মপরিচয়ের এক
অনিন্দ সুন্দর প্রচ্ছদ ছবি।
ভালোবাসার প্রাচুর্যে ভরা একটি দেশ:
যার ছবি শব্দের কারুকার্যের নিপুণতায়
অপুর্ব চিত্রপটে এঁকে যায় কবি।।

আমার সোনার বাংলাদেশ
আমার হৃদয়ের গহীণ বন্দরে জমা করে
রাখা এক শুদ্ধ ভালোবাসার নাম।
আহা! এ যেন আমার-
চোখের তারায় দেখা সোনাঝরা জ্যোতির
ঝিলিক;স্বপ্ন উসকে দেয়া ধাম।।

সবুজ-শ্যামলের চিত্রপটে আঁকা
রূপ মাধুরীর বাংলাদেশ
. আহা! রঙে রঙে রাঙায়:
আমার মনের আকাশ।
আহা! এ যেনো
মন দুয়ারের অর্গল খুলে
ছড়িয়ে দেয়া মিষ্টি হাওয়া! বুকে জাগা
অসীম অপার মিষ্টি আবেশের
সুরভিত ভালোবাসার সুবাতাস।।

মাতৃসম বাংলাদেশ মম
এ যেনো সদ্যোজাত শিশুর খলবল হাসির
ছোঁয়ায় ভরা সবুজে ছাওয়া একখণ্ড জমি-
স্বপ্নের অলংকারে আঁকা:
এক মুক্ত স্বাধীন ভূমি।
রৌদ্রের উত্তাপে,বর্ষার শিহরণে
আর শীতের জড়তায় কাঁপা সোঁদা মাটির
গন্ধ মাখা সোনালী-রূপালী রূপের এ দেশে
জন্মেছি বলে নিজেকে ধন্য মানি:
তার ধূলোমাটি চুমি।।
**************************************

মুক্তির দিশারী
==============================
মোহাম্মদ মিজানুর রহমান
==============================
মরুর বুকে জন্ম নেয়া
‘এই সেই’ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সঃ):
খুলে দিলেন যিনি—-
মানব মুক্তির স্বপ্ন দুয়ার—
আসমানী কিতাব আল কোরআনের
চাবিতে।
আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগে আসা
‘এই সেই’ মহাপুরুষ হযরত মুহাম্মদ (সঃ):
পথহারা মানুষকে যিনি—-
দিলেন সত্য পথের সন্ধান—
পারিলো সবাই আবার একক স্রষ্টার কথা
ভাবিতে।।

মারহাবা– ইয়া সায়্যিদাল মুরসালিন!
মারহাবা– ইয়া সায়্যিদাল আ-খিরিন!!

আরবের বুকে জাতিগত সন্ধিক্ষণে
এলেন যিনি—
প্রভাকর মহানেতৃত্ব সুবাস ছড়িয়ে
মহামুক্তির বারতা হাতে:
বিশ্বমানবতার কাণ্ডারি সেজে।
সেই তিনিই—–
শ্রেষ্ঠ নবী, প্রিয় রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সঃ):
বারো রবিউল আওয়ালের এক শুভক্ষণে
যার আগমণ বার্তা—
দিকে দিকে উঠেছিল বেজে।।

মারহাবা— ইয়া রাহমাতুল্লিল আ-লামিন।
মারহাবা— ইয়া রাসূলা রাব্বিল আ-লামিন।।

অন্ধকার অমানিশার যুগে আলোকবর্তিকা হয়ে
যিনি এলেন—
উষর মরুর বুকে—
ফুলের মত সৌরভময় মহাপুরুষ রূপে
তিনিই সেই—-
শেষ ও শ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সঃ)—–
যার সুপারিশ বিনে মিলবেনা জান্নাত:
আমি নিশ্চিত স্থির বিশ্বাসে জানি।
তিনিই সেই—-
মহানবী বিশ্বনবী—
আল্লাহর পেয়ারা হাবিব
হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সঃ)—-
যার উপর দরুদ পড়েন:
বিশ্ব বিধাতা স্বয়ং এবং তার সকল ফেরেশতায়—–
ঈমানের বলে আমরা সবাই যা মানি।।

মারহাবা— ইয়া শাফিয়াল মুযনিবীন!
মারহাবা— ইয়া সাইয়্যিদাল আ-খিরিন!!

শুদ্ধতার অবলুপ্তি ঘটেছে যে আরবের বুকে
সেই মরুর দেশে—
যিনি এলেন———
বিশ্ব মানবের মহা মুক্তির আলোকবর্তিকা
হয়ে।
জ্ঞাতে-অজ্ঞাতে গোমরাহি আর কুফরির
শেকলে বন্দী তাবৎ দুনিয়ার মানুষের কাছে
যিনি এলেন—
মুক্তির মহামন্ত্র আল কোরআনের বাণী
লয়ে।।
সেই তিনিই—
আল্লাহর প্রেরিত রাসুল; শেষ ও সর্বশেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ):
যার সানুগ্রহ সুপারিশে আমি বেহেস্তে যাবো——
নিত্যদিন এমন স্বপ্ন গড়ি।
যার শানে সকল আশেকে রাসুল (সঃ)
মশগুল চিত্তে দরুদ পড়ি।।

মারহাবা— ইয়া সায়্যিদাল মুত্তাকীন!
মারহাবা— ইয়া খাতামান নাবিয়্যীন!!
==============================

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!