ads

সোমবার , ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

শেরপুরে শেষ পর্যায়ে দুর্গা প্রতিমা তৈরীর কাজ ॥ দিন-রাত কাজ করছেন প্রতিমাশিল্পীরা

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯ ৭:২০ অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরে শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্বজনীন এ ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে এখন মন্দির-মণ্ডপগুলোয় চলছে সার্বক্ষণিক ব্যস্ততা। দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে বরণ করতে সর্বত্র সাজ সাজ রব। প্রতিমা নির্মাণে প্রতিমাশিল্পীদের চোখে ঘুম নেই। দিনেও অবসর নেওয়ার সুযোগ নেই। প্রতিমাশিল্পীদের এখন রাতদিন একাকার। পাশাপাশি পূজামণ্ডপ, তোরণ নির্মাণ ও আলোকসজ্জা নিয়ে ব্যস্ত কারিগররা।
আর এভাবেই শেরপুর সদর উপজেলার ৬৪টি, নালিতাবাড়ীর ৩৬, নকলার ২০, ঝিনাইগাতীর ১৬ ও শ্রীবরদী উপজেলার ৯টিসহ জেলার ১৪৫টি পূজামণ্ডপে এখন চলছে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতিমূলক নানা আয়োজন। আগামী ৪ অক্টোবর শুক্রবার ষষ্ঠীতে দেবী দুর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে ৫ দিনব্যাপী ওই উৎসব।
সরেজমিনে শেরপুর শহরের কয়েকটি পূজামণ্ডপে গিয়ে দেখা যায়, দুর্গাপূজার ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যেই অধিকাংশ মণ্ডপে দুর্গা প্রতিমাসহ অন্যান্য প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন প্রতিমাশিল্পীরা। পাশাপাশি কয়েকটি মণ্ডপে পোশাক পরিচ্ছদ পরিধানসহ প্রতিমা রং করার কাজও চলছে। শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার আবেগ নিয়ে মশার কামড় উপেক্ষা করে রাত-দিন কাজ করে চলেছেন প্রতিমাশিল্পীরা।
শেরপুর শহরের নয়আনী বাজার এলাকার প্রয়াত রাই চরণ সাহার বাড়িতে অবস্থিত পূজামণ্ডপে কথা হয় সদর উপজেলার বয়ড়া পালপাড়া গ্রামের প্রতিমাশিল্পী রাজকুমার পালের সঙ্গে। তিনি বলেন, তিনি ও তাঁর কয়েক সহযোগী মিলে ১৪টি মণ্ডপের প্রতিমা তৈরির কাজ হাতে নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই সবকটি প্রতিমার মাটির কাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন প্রতিমার গায়ে পোশাক পরিধান ও রং দেওয়ার কাজ চলছে। দেবীর বোধনের আগেই ওইসব প্রতিমার কাজ সম্পন্ন করে মণ্ডপ কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দিতে হবে। তিনি বলেন, দ্রুত প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করতে তাঁরা এখন নির্ঘুম কাজ করছেন। রাত জেগে অনেক পরিশ্রমশেষে যখন প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয় তখন নিজের মনটা তৃপ্তিতে ভরে ওঠে।
শহরের গোপালবাড়ী এলাকার একটি মণ্ডপে কর্মরত বয়ড়া পালপাড়া গ্রামের আরেক প্রতিমাশিল্পী দিলীপ কুমার পাল বলেন, তিনি ও তাঁর সহযোগীরা জেলার ২৬টি পূজামণ্ডপের প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। এজন্য প্রতিমা ভেদে ২০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক পাবেন। কিন্তু বর্তমান বাজারে এ পারিশ্রমিক খুবই অপ্রতুল। কারণ চুল, রংসহ প্রতিমা তৈরির বিভিন্ন উপকরণের মূল্য আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে জীবনযাত্রার ব্যয়। তাই প্রতিমা তৈরি করে সংসার চালানো এখন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। পরিশ্রম অনুযায়ী তিনি তাঁদের পারিশ্রমিক বাড়ানোর জন্য মণ্ডপ কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান জানান।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট সুব্রত কুমার দে ভানু বলেন, মৃৎশিল্প ও প্রতিমাশিল্পীদের রক্ষার জন্য তাঁদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধির ব্যাপারে আগামীতে মণ্ডপ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকেও তাঁদের সহযোগিতা বা স্বল্পসুদে ঋণ প্রদানের জন্য আহবান জানান তিনি।

Shamol Bangla Ads

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!