স্টাফ রিপোর্টার ॥ পঞ্চম উপজেলা পরিষদের শেষ ধাপে অনুষ্ঠেয় শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মাসুদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ৫টি ফৌজদারী মামলা চলমান রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নেই কোন মামলা। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ৫ প্রার্থীর দাখিল করা হলফনামা পর্যালোচনায় পাওয়া গেছে ওইসব তথ্য।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, শফিকুল ইসলাম মাসুদের বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় ২০১২ সালে ৩টি ও ২০১৮ সালে ২টি মামলা দায়ের করা হয়। ওইসব মামলার মধ্যে বিস্ফোরক উৎপাদনকারী আইনে ২টি, আইন-শৃঙ্খলা বিঘœকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইনে ১টি এবং দ- বিধির বিভিন্ন ধারায় আরও ২টি মামলা রয়েছে। সদর থানার বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তারা ওইসব মামলার বাদী। দায়ের করা মামলাগুলো বর্তমানে শেরপুরের জি.আর আমলী আদালতে চলমান রয়েছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ ইলিয়াছ উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ৪টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হত্যা মামলা রয়েছে। ওই মামলায় ১৯৯৭ সালে শেরপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- দেন। তবে আপিলমূলে উচ্চ আদালত থেকে তিনি জামিনে মুক্ত রয়েছেন এবং মামলাটি বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। অন্য ৩টি মামলার মধ্যে ২টিতে আদালত তাকে অব্যাহতি প্রদান করেন এবং ১টিতে রায়ের মাধ্যমে তিনি খালাস পান।
আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন মিনালের বিরুদ্ধে ২টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ২০০৬ সালের ২৭ এপ্রিল আদালত একটি মামলা নিষ্পত্তি করেন। আর সদর থানায় করা ১টি মামলা চলমান রয়েছে। আর আওয়ামী লীগের অপর বিদ্রোহী প্রার্থী পদত্যাগী উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বায়েযীদ হাছানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ৫টি মামলা দায়ের করা হলেও আদালত থেকে তিনি ওইসব মামলায় খালাস পেয়েছেন। অবশ্য আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই বলে তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।
এদিকে মামলা প্রসঙ্গে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ২০১২ সাল থেকে সরকার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজনৈতিক কারণে দলের আরও বেশ কিছু নেতা-কর্মীসহ তার বিরুদ্ধে ওইসব মামলা দায়ের হয়েছে। এখন তিনি জামিনে থেকে মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, আগামী ১৪ অক্টোবর ইভিএম পদ্ধতিতে শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।