আশরাফ আলী চারু
কাশফুলের আজ বিয়ে হবে
সাজছে বিয়ের সাজ
রূপখানা তার শাড়ীর ভাঁজেও
পায়না একটু লাজ ।
আইছে দামান বইছে দামান
খায়না খাবার কেউ
কি খাবে তার পায়না হিসাব
যেথায় রূপের ঢেউ !
ঐ দিকে এক শোরগোলেতে
এই দিকেতে চুপ
বর পড়েছে ভিমরি খেয়ে
এমন দেখে রূপ !
ইন্দ্রিয়ের দল
মো: রাবিউল ইসলাম
মানুষেতে ইন্দ্রিয় সব
করে কেমন কাজ,
ছন্দে ছন্দে মনে রাখতে
বলছি সব-ই আজ।
চক্ষু শুধু চেয়ে দেখে
অপকর্ম সব,
কর্ণ সে যে চায় না শুনতে
পূণ্য কাজের রব।
নাসিকা সে ভালো ছেড়ে
শুঁকে মন্দ ঘ্রাণ,
জিভের থাকে তরল ভোজে
বড় বেশি টান।
ত্বকটা যে চায় চকচক হতে
নিয়মিত তেল,
বাকশক্তি সে গালির সময়
রাখে না আর খেল।
হস্ত সদা ব্যস্ত থাকে
খুঁজে পেতে দোষ,
পা সেখানে চায় যে যেতে
বাড়ে যেথায় রোষ।
পায়ু খুবই গন্ধ ছড়ায়
বায়ু ছেড়ে হায়,
উপস্থ তার রতিক্রিয়ায়
তৃপ্তি শুধু চায়।
মন যদি না থাকে ভালো
যায় না ভালো ক্ষণ,
বুদ্ধি তখন করে না কাজ
জানেন সর্বজন।
অহংকারটা সোনার জীবন
পতন করার মূল,
চিত্ত যখন থাকে ভালো
ধরতে পারি ভুল।
ইন্দ্রিয়ের দল কিছুতেই যে
হয় না নিয়ন্ত্রণ,
শরীর নামক দেশে আমি
দুর্বল প্রশাসন।
বিদায়ের বেদনা
গোলাম মোস্তফা
আমি একদিন মারা যাব,রেখে যাব অসংখ্য স্মৃতি
থাকবে না আমার জন্য, কারোর মনে প্রেম প্রীতি।
আদরের স্ত্রী সন্তান আমার,বসে থাকবে হয়তো পাশেই
মেয়েরা চিৎকার করে কান্নায় জড়িয়ে ধরে বলবে বাবা, বাবা।
অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে দেখব আমি শুধু তাদের কান্না
মৃত্যুর যন্ত্রণায় ছটফট করবো যখন আমি শেষ বেলায়,
ঝাপসা চোখে দেখব তাদের পৃথিবীটা লাগবে অন্ধকার।
সেই দিন থাকবে না আমার মনে আর কোন আশা
শেষ বিদায়ের আগে হয়তো ফুরিয়ে যাবে মুখের ভাষা।
চারিদিকে থাকবে আত্নীয় স্বজন আর স্ত্রী সন্তান,
জোর করেই শেষ বিদায়ের বেলায় দুধ করাবেন পান।
চোখ দুটো বন্ধ হবে ফুরিয়ে যাবে নিঃশ্বাস
কাঁদবে সবাই ডাকবে মোরে আমি যাব পরপারে ,,
শুধুই দীর্ঘ শ্বাস।
প্রতিবাদ চাই
শাকিল আহমেদ সৌরভ
প্রতিবাদ চাই এইসব কাজের
কেমন অভিনয়!
এগুলো কি কৌতুক বলে
সমাজ অবক্ষয়।
অশ্লীলতায় জর্জরিত
এমন দৃশ্য ভাই’রে,
এমন কৌতুক বন্ধ হোক ভাই
সেটাই সবাই চাই’রে।
এটা শুধু নই’তো ভাইয়া
আরো অনেক আছে,
মূর্খ লোকের মূর্খ কাজে
সমাজ যাচ্ছে পাছে।
নগ্নতা কি কৌতুক বলে
যেটা বাচ্চাও দেখে,
বাচ্চার বাবার ফোনটা নিয়ে
ছোট্ট শিশুও শেখে।
প্রতিবাদ তাই করতে হবে
জাগো ফেসবুকবাসী,
এমন কৌতুক দেখে যেন
আমরা না ভাই হাসি।
এটাও একটা সাইবার ক্রাইম
আমার মনে হয়,
এমন কৌতুক অভিনয়টা
কারো কাম্য নয়।
মানবতা
আল মামুন
দূর্লভ মানুষ জীবনের পাকে পাকে,
অহর্নিশি স্বপ্নের জাল বুনি কত।
কোন ক্ষনে আসবে একটি সু প্রভাত,
মানুষ মানবে হবে পরিণত।
মানুষের একমাত্র প্রতীক মানবতা
প্রতিষ্ঠিত কর মানুষের মনে।
আমি সেই প্রার্থনায় রত থাকি,
অহর্নিশি মহান স্রষ্টা পানে।
মানুষ দিয়ে যাচ্ছে আজকাল,
কেবলই চরম বন্যতার পরিচয়।
তাই বন্যজাতিরাও বোধকরি করছে উপহাস,
শ্রেষ্ঠজীব মানুষ বুঝি এমন হয়!
আর্থীক উন্নতি সাধনে ব্রতী হওয়া,
কখনও মানুষের কর্ম নয়।
আত্মীক উন্নতি সাধনে ব্রতী হওয়া,
জানবে মানুষের কর্ম নিশ্চয়।
বিশ্ব বিবেক
খাদিজা বেগম
বিশ্বটা আজ ভরে আছে
চরণ চাটা কুকুরে,
বিবেক শূন্য মানব গুলো
অন্ধ যে দিন দুপুরে।
চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি
হর হামেশা চলছে বেশ,
নেশায় নেশায় স্বপ্ন মরে
যুব সমাজ হলো শেষ।
রাঘব বোয়াল অথৈ জলে
ধরা ছোঁয়ার কত দূরে,
নিত্য ধরি চুনা পুঁটি
মানবতা ছাই পুড়ে।
বিশ্ব বিবেক জেগে দেখ
একবার দেখো না চেয়ে,
রাজায় রাজায় যুদ্ধ করে
প্রজা মরে না খেয়ে।
শাসন নামে শোষণ চলে
রোহিঙ্গা হয় প্রজাগণ,
রাজ্য নয়তো রাজার সম্পদ
রাজ্যের মালিক জনগণ।
একবার পেলে রাজ্য হাতে
দখল রাখে যুগ যুগে,
চোরে চোরে দোস্তি গড়ে
ব্যালট ভরে সুযোগে।
বিদ্যালয়ে আজ শিক্ষা নেই
হেঁটে চলার নেই ফুটপাত,
মানবের নেই সাহস শক্তি
অন্যায়ের নেই প্রতিবাদ।
সত্য কথা বলতে মানা
গণতন্ত্র হীন রাজ্যে,
সঠিক পথে চলতে মানা
আর কুলায় ধৈর্যে।
নিত্য নিত্য মরার চেয়ে
বীরের বেশে মরবো আজ,
মরার আগে গড়ে যাবো
সুখী সুন্দর এ সমাজ।।
“”””””””” ক্ষত বিক্ষত “””””
ইন্জিঃ মোঃ সাদ্দাম হোসাইন সাইদী
হৃদয় টা ক্ষত বিক্ষত শুধু একটু প্রীতির জন্য
আজও মনে পড়ে সেই জলধারার স্রোতের কথা, যেদিন হঠাৎ হয়েছিল দেখা
আজও মনে পড়ে-
সেই শ্বাসরুদ্ধের দিনে তোমায় দেখবো বলে বার বার আনাগোনা
আজও মনে পড়ে গভীর রজনী তে দিশাহারা পথিক হয়ে বাড়ি ফেরা
হে নন্দিনী-
আজও চাই সেই দিন গুলো কুড়িয়ে নিতে,হয় যেন সেই পথচলা..!
হে নন্দিনী হৃদয় টা আজ পরিস্থিতিতে ধারালো নখে আছড় মারা…
এখনও হাঁটি আজও হাটিঁ, পর বাক্যে ভুলে আছড় লাগে প্রাণে
পরীক্ষার কবলে সত্য উপলব্ধি তে ফিরে আসা
অনর্থক আঘাতে ক্ষত বিক্ষত হিয়া….
আমার অভিযোগ অভিমানে ভুলে ঢুকে যায় গভীর অন্ধকার পথে
হৃদয় থেকে সুখ গুলো ইচ্ছে হয়না অনুভব করতে
নর্দমায় ছিটকে ছিটকে পড়ে
,,,,
আধ মরা প্রতীক্ষায়
নির্জন নীরবে আর্তনাত করে
কিছু আবেগ আর বিবেকের মিশ্রণে
হে প্রেয়সী আজও প্রতীক্ষায়
ভালবাসা দিতে
হৃদয় টা বড্ড অসহায়, ক্ষত বিক্ষত শুধু একটু প্রীতির জন্যে…
কবিতাঃ ” আমার দেশ”
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম
তাং২২/০৯/২০১৯ খ্রিঃ
———————————————————-
আমার দেশে আছে অনেক
ছোট বড় নদী,
বয়না এখন আগের মত
সেসব নিরবধি।
হরেক প্রকার নদী আছে
শত শত নাম তার,
পদ্মা মেঘনা ব্রহ্মপুত্র
বলব কত আর।
জেলে সকল ধরেছে মাছ
হাসছে ওরা খিল খিল,
পানকৌড়িরা দলবেঁধে তাই
ভেসে বেড়ায় খাল বিল।
আজ আমাদের ছেলে মেয়ে
নায়েতে যায় স্কুলে,
স্বদেশের গান গাইছে ওরা
সুখের নিশান তুলে।
ওরা নানান কথা বলে
গাইছে সোনার বাংলা,
মোরা দেশকে ভালোবাসি
খেলছি ক্রিকেট খেলা।
মাঝিরা গান গাইছে নৌকায়
ভাটিয়ালি গান,
বাঁশির সুরে গাইছে ঐ গান
গানই ওদের জান।
আমার আকাশ শুন্য
রোমেল খান
ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে দেখি কতো পাখি
আকাশ পথে ঘুরে আসে নীলিমায়।
ছুঁয়ে দিয়ে আসে তাঁদের প্রতিটি পথ।
আমার হৃদয়পুরের আকাশটাতে দেখি
বিশাল মেঘের বরফ জমছে,এবং শীতল।
কেউ নেই এই পথটি উত্তপ্ত করার জন্য
শীতল বরফ খন্ড থেকেই যেন আজ
চুয়ে পড়তে চাইছে তাঁর হৃদয় কোণের বিন্দু ফুঁটা।
শুন্যতায় বহমান নিরব উৎকৃষ্টে
শুধু কারো ছোঁয়ার অপেক্ষায়,তবেই সে
বিলীন হতে থাকবে অঝর ঝরায়।
অসমাপ্ত প্রীতি
————–মোঃ হামিদুর রাহমান
যতটা না প্রাপ্তি ঘিরে জেগে ওঠে সুখ,
কিছু শূন্যতায় থাকে, না পাওয়ার দুখ।
সময় যে গলে যায় বরফের মতো,
কিছু থাকে সুখ-স্মৃতি, বেদনাও ততো।
কোন্ কুঞ্জে সব ফুল ফোটে গো প্রভাতে?
কিছু রাত কাটে কারো নিরন্ন হাভাতে।
জলের মিলনে ধরে লোহাতেই জং,
দিবানিশি আঁখি পটে আঁকে কতো রং।
কে ভুলিছে কবে কারে, বিষন্ন আঁধারে?
ফিরে আসে দিবানিশি, আসে বারেবারে।
শুরুতে যে পথগুলো হয়ে যায় শেষ,
রয়ে যায় কিছু প্রীতি, কিছু থাকে রেশ।
নদী
আল আমীন সাদী
একদিন আমি ঘুরে ফিরে
গেলাম নদীর তীর
সেথায় গিয়ে দেখলাম আমি
নাইতো ঢেউয়ের ভিড়
বালু চরে ভরে গেছে
পানির দেখা নাই
এমন করে নদী মরলে
বাঁঁচবো কেমনে ভাই
আগে নদীর পানি ছিল
ছিল কত ঢেউ
নদী হতে ফিরতো না ভাই
খালি হাতে কেউ
পাবদা ইলিশ বোয়াল ধরে
আনতো লোকে ঘরে
এমন সোনার নদীটা ভাই
কেমনে গেল মরে
কারো কি ভাই একটুখানি
জাগেনা আফসোস
নদীর এমন মরণ দেখে
ফিরেনা তো হুশ
নদীর প্রতি যে যার মত
নজর দিও ভাই
নদী মাতৃক দেশটা মোদের
আবার ফিরে চাই
পদ্মা মেঘনা নদীর বুকে
বাংলাদেশের ছবি
যতন করে আকলেন কত
আমার দেশের কবি
নদীর প্রেমে মজতে দিয়ে
লিখেন কত গান
এই নদীরাই বাংলাদেশের
জীবন ও পরাণ।
মিথ্যা তুমি ……
সানী আবু জাফর
মিথ্যা তুমি অহেতুক বিষয়
ভেজাল কর , সকল সময় !
মিথ্যা তুমি সত্যের পথে
যন্ত্রনার এক বাঁধা ,
তোমার প্যাঁচে ,
সত্য যেন এক ধাঁধা !
মিথ্যা তুমি কখনও হিংস্র
অসভ্য এক জানোয়ার !
মিথ্যা তুমি ধ্বংসের কারন
পাপের প্রাচীর , শূন্য ঘর !
মিথ্যা তুমি অসংখ্য ভুল
কখনও তুমি ,
ছলনাময়ী ফুল !
অত:পর , মিথ্যা তুমি
শেষ প্রান্তে এসে নিরুপায়
মাথানত ও মলিন ,
সত্যের নিকট ,
অসহায়ের মত বিলীন !
কাশবনের কন্যা
মোঃমুক্তাদির আহমাদ
কাশবনের কন্যা তোমায়
অনেক ভালো লাগে
তুমিই আমার স্বপ্ন আশা
তাইতো থাকি জেগে,
চোখের মাঝে ঘুম আসেনা
ভাসে তোমার ছবি
আঁধার কেটে আলোর ছুঁয়া
গগনে উঠে রবি।
তোমার মাঝে আছে অনেক
মুগ্ধ প্রেমের রেখা
সাজ প্রভাতে পাই যে সখি
সেতায় তবু দেখা।
হাসছো তুমি আপন মনে
শিশির ছুঁয়া পেয়ে
বলবো কবে মনের কথা
ভাবছি শুধু চেয়ে।
রূপেরর হাসি তোমার মাঝে
দেখতে আমি পাই
সব সময় হৃদয় ঘরে
তোমায় আমি চাই।
সুখের দুঃখের সাথী হয়ে
থাকবো পাশে আমি
উদাস আমায় করেছো কেন
শরৎ রানী তুমি?
গান – শেরপুর
হারুনুর রশীদ
***********
গারো পাহাড় পাদদেশে সবুজে ভরপুর
মহীয়ান শের আলী গাজীর এই জেলা শেরপুর৷
হ্যাঁ—মহীয়ান শের আলী গাজীর এই জেলা শেরপুর৷
—
কামরূপের পর একটি বাজু দশকাহনিয়া,
রাজধানী তার জরিপ শাহের গড়জরিপা৷
মমিন পাগলা, টিপু শাহের মানবতার সুর,
কীর্তিমানদের স্মৃতি ধরে অশান্তি সব দূর৷
মহীয়ান শের আলী গাজীর এই জেলা শেরপুর৷
হ্যাঁ—মহীয়ান শের আলী গাজীর এই জেলা শেরপুর৷
—
জালের মতো আড়াআড়ি খালা-বিলা-নদী,
পাহাড় বেয়ে ঝর্ণা ধেয়ে চলছে নিরবধি৷
পাখির ডাকে মানুষ জাগে নিত্য যখন ভোর৷
নিসর্গতায় পর্যটনে আনন্দ প্রচুর৷
মহীয়ান শের আলী গাজীর এই জেলা শেরপুর৷
হ্যাঁ—মহীয়ান শের আলী গাজীর এই জেলা শেরপুর৷
—
নকশি কাঁথা, বাঁশের শিল্প, মুক্তিযোদ্ধার ঘাঁটি;
আমজনতার ভালোবাসায় পবিত্র এই মাটি৷
জেলে, তাঁতী, রাজনীতিবিদ আর চাষা-মজুর
দেশের কাজে সকাল সাঁঝে সব কাজে বিভোর৷
মহীয়ান শের আলী গাজীর এই জেলা শেরপুর৷
হ্যাঁ—মহীয়ান শের আলী গাজীর এই জেলা শেরপুর৷
—————————-
টীকা –> ১)বাজু :– , রাজ্য, অঙ্গরাজ্য, প্রদেশ, প্রশাসনিক এলাকা …. ৷
২) কামরূপ :– প্রাচীন ভারতের বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থসহ বিভিন্ন গ্রন্থে জাদুবিদ্যার পরাকাষ্ঠা যে ‘কামরূপ’ রাজ্যের বর্ণনা পাওয়া যায় সেই কামরূপ/কামাখ্যা/ কলতাই রাজ্যের রাজধানী ‘গড়জরিপা’৷
এই ‘কামরূপ’ রাজ্যের পতনের পর বিভিন্ন ছোট ছোট রাজ্য, কখনও স্বাধীন, কখনও শামন্ত রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়৷ এসব শামন্ত রাজ্যের একটি বাজু (প্রশাসনিক এলাকা/প্রদেশ/অঙ্গরাজ্য ) ‘দশকাহনিয়া’৷ এই ‘দশকাহনিয়া’ বাজুরও রাজধানী ‘গড়জরিপা’, যা বর্তমানে একটি গ্রাম৷ স্হাপনা :– বারো দুয়ারি মসজিদ, কালিদহ সাগর এবং…৷
এই‘দশকাহনিয়া’ বাজুর একজন প্রজাহিতৈষী জমিদার ‘শের আলী গাজী’৷ সেই আমলে প্রভাবশালী বেশ কিছু হিন্দু জমিদার ও সভাসদদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে মহীয়ান এই জমিদার ‘শের আলী গাজী’ জমিদারি হারিয়ে তাঁর খামারবাড়িতে দিন যাপন করেন৷ তার সেই খামারবাড়ি এলাকাটি বর্তমানে ‘গাজীর খামার’ নামে প্রতিষ্ঠিত ৷
মহীয়ান এই জমিদার ‘শের আলী গাজী’-র নামানুসারেই এর নাম ‘শেরপুর’৷
)৩) টিপু শাহ :– পাগল টিপু শাহ নামেই অধিকতর পরিচিত৷ একজন সূফী সাধক ও প্রজাহিতৈষী রাজা৷ তিনি এই দশকাহনিয়া রাজ্যের স্বাধীনতা ঘোষনা করেছিলেন৷
৪) মমিন পাগলা :– বিখ্যাত সূফীসাধক৷ চাপাতলী সরকারি গোরস্থানে তার সমাধি৷———–
খেলি অবনীর খেলা
……………….মোঃ আবুল হোসেন
আমি চাইনা হতে রাজাধিরাজ চাইনা সিংহাসন,
মায়ায় ভরা গাঁও যে আমার মমতার আসন।
আমার চোখে খেলা করে অপ্সরীদের নৃত্য,
পদতলের ধুলোর মায়া করতে চায় শেষকৃত্য!
পথ যে আমায় ডাক দিয়ে যায় অনন্ত সেই পথে,
বিনাশ আমার যতই আসুক রইবো মিশে সাথে।
ফসলের মাট, নদীর ঘাট, চড়ুই পাখির বাসা,
কৃষক মিটায় মনোবাঞ্জা আমার যতো আশা।
দাদার স্বপন, বাবার চোখে দেখি ক্ষেতের আলে,
রাখিনি স্বপন নিজ চোখেতে জোটেনি তাই ভালে!
রাজ-কপাটে ঝুলছে তালা আমার গাঁয়ের ব্যসন,
মা-বাবার আদর শাসন, বোনের স্নেহের আসন।
চলি মন খুলে, আপন পর ভুলে অসীম সীমানায়,
আকাশ আমায় ডাকে কাছে আয়রে ছুটে আয়!
দখিন হাওয়ায় জুড়াই প্রাণ উদাস দুপুরবেলা,
শরৎ বনে কাশের সাথে খেলি অবনীর খেলা।
পৃথিবীটাকে দেখি আমি ছোট্ট গাঁয়ের কুড়েঁঘরে,
যতো দ্বন্দ, যতো জঞ্জাল মেরে ফেলি আতুড়ঘরে।
সুখ যে আমায় হাতছানি দেয় সকাল-দুপুর-রাত,
কোন দুঃখেতে দূর গগনে উড়বো দিবস রাত!
আকাশটাকে দেখি আমি সারা পৃথিবীর ছাদ,
অট্টলিকার চারদেয়ালে মিটে কি সেই সাধ!
এমন গাঁয়ের মায়া ছেড়ে কোথায় রাখি পা,
মুঠোমুঠো সুখ বিলায় এই মায়ায় ভরা গাঁ।
মুর্খের স্মৃতির বিদ্যামন্দির
এস এম জালাল উদ্দিন——————— ———————
স্মৃতিময় এই আঙিনায়
কাটিয়েছি মধুর শৈশব
দুরন্ত কৈশোর কাল,
শৈশবে করিয়া
খেলাধুলা আর পড়ালেখা
কৈশোরে বুনিয়াছি কতো
রঙিন সপ্নের জাল,
বন্ধু বান্ধবী ভাই বোনে মিলে
কতনা কোলাহল,
অভিমান করে কেহ বলিতো না কথা
আবার খুঁজিতাম বলার ছল,
স্মৃতির পাতায় আঁখি
মেলিলে
ভরে আসে তাতে জল,
ছিলো নির্মল বায়ু
আম্রকানন ছায়াভরা বৃক্ষতল,
পিতৃ স্নেহে রাখিতেন ঢাকিয়া
সকল শ্রদ্ধেয় শিক্ষাগুরু গন,
হায় যুগ কেটে যায় যাচ্ছে যাবে
দেখিনা তাহাদেরে তাইতে
কাঁদে মন,
পাইনা সাহস যাইতে সামনে
করিতে পারিনি গুরুদের আশা পুরণ,
কিভাবে দেখাই গুরুগনেরে বেহায়া এই বদন,
থেমে নেই আজও
সেই কোলাহল
রয়েছে সুশীতল বৃক্ষতল,
সময়ের দাবী করিতে পুরণ
আসিয়াছে আসিতেছে
চিরসবুজ আর মেধাবী সকল,
অনুজগনেরে বলি ওরে সোনারা
করো পাঠ তোমরা
দিয়া তোমদের মন,
বিদ্যায় বুদ্ধিতে হউ সেরা
করো শিক্ষাগুরু আর পিতা মাতার সপ্নপুরণ,
দেশের ও দশের সেবায়
করিয়া অংশগ্রহন রাখো অবদান,
তাহাতে এই বিদ্যামন্দির রবে ইতিহাসে অম্লান।।
খাপ থেকে তলোয়ার না বেরোলে
রতন সেনগুপ্ত
আসলেই মুখ ঘোরাবার খেলা
কালবেলা দিয়ে ঢাকে সূর্য মুখ
গভীর অসুখ, কোথায় মানুষ !
নিজ দেশে পরবাসী নিজ ভাষা দুয়োরানী
বাণী দিয়ে বাজাচ্ছেন বেশ – উল্লুক সর্বদেশ!
পিঠ মোড়া দিয়ে বাঁধে ওড়ায় ফানুস
ধর্ম বেঁচে গেলে দরবেশ
ভন্ডের ভক্তিমার্গ বিনাশ্রমে খায়
বিনা বাক্যব্যয়ে লোটে চৈতন্য প্রদেশ
মায়া-শত্রু বন্ধু হয়ে আসে
আমাদের কণ্ঠস্বরে দেয় নির্লিপ্ত অসুখ
বিভ্রান্তির রোজনামচা লেখে
খাপ থেকে তলোয়ার এখনো না বেরোলে
জল্লাদ হাড়িকাঠ সাজাবে
বলিদান উৎসব হবে, কে কৈফিয়ৎ নেবে!!
বিভাজন দস্তুর
পাত নেই, কাজ নেই, কাসর ঘন্টা বাজে
বলির পাঠা সাজে, প্রতিবেশ প্রতিদিন শত্তুর
খাপ থেকে তলোয়ার না বেরোলে…
মানবাধিকার
সাগর আহমেদ
//
হে বিশ্ব, তোমরা যখন আকাশে বাড়ি বানানোর দেখো স্বপ্ন;
আমরা তখন, দুমুঠো খাবারের জন্য পাগলের মত ছুটি!
হে বিশ্ব, তোমরা যখন উচু দালানের প্রতিযোগিতায় মগ্ন;
আমরা তখন, আমাদের দামি কুড়ে ঘরগুলোতে লাগায় খুঁটি।
তোমরা যখন ভোজের শেষে, ছুড়ে ফেলো সেইসব সুস্বাদু খাবার;
আমরা সেসব খেতে স্বপ্ন দেখি, অন্তত বছরে হোক একবার!
তোমরা যখন ক্ষমতার লোভে, রাজার সিংহাসনের কত আশায়,
কত বুদ্ধি ষড়যন্ত্র, বিশ্বাস ঘাতকতায় থাকো যে রত,
আমরা তখন, বেঁচে থাকার এতটুকু ভরসা না পেয়ে হায়-
আকাশের দিকে চেয়ে দুচোখের জলে প্রভুরে ডেকে যাই শত।
তোমরা ধনী, ধরণীর রাজা, শত কোটি মানুষের শাসক;
মানবাধিকার পায়ে ঠেলে, পূরণ করছ অযথা অন্যায় শখ।
আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দাও, আমরা পশু নয় মানুষ জাত;
যদি ব্যর্থ হই তবে শোন হে বিশ্ব, ধিক তোমায় শত দিন রাত।
কঠিন দর্শন
মোহাম্মদ রবিউল আলম (টুকু)
বড় অদ্ভুত দর্শন তোমার,
একপথে একবারই হাঁটো,
আবার,বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড দ্যাখো
বহু পথ, বহু রথের সওয়ার হয়ে!
কী সাংঘাতিক স্ববিরোধিতা,
নির্লজ্জ কপটতা!
এমন দর্শনই ধর্ষক সেজে
যুগে যুগে ধর্ষণ করে নিরীহ দর্শকদের।
তবুও জিতে রহো,তোমার দর্শন নিয়ে
আমরা নির্বাক চেয়ে দেখি,খাবি খাই
আর সুযোগ পেলে বগল বাজাই।
প্রকৃতির কোমল নির্জনতার অনুভবে সুখ খোঁজা
==============================
মোহাম্মদ মিজানুর রহমান
==============================
চেয়েছিনু আবেগ পৌঁছে যাক
হৃদয়ে হৃদয়ে।
চেয়েছিনু মনের মাধুরী মিশিয়ে
স্বপ্নের বাগান গড়তে-
যেখানে ভয় কাছে ঘেঁষেনা কভু।
চেয়েছিনু প্রাণের উত্তাপে পূর্ণ করে
ধন্য হোক জীবন।
চেয়েছিনু ভালোবাসার গানে গানে
ভরে উঠুক সবার মনপ্রাণ।
এভাবে—–
জীবনকে
পৃথিবীকে
সংগোপনে চুপি চুপি সাজিয়েছি কত-
সবার অলক্ষ্যে।
কত লগন হয়েছে অতীত!
না—-কোথাও মেলেনি ভালোবাসা।
না— কোথাও মেলেনি শুদ্ধ প্রেম!!
এতেই—
নিথর নিস্তেজ নিস্তব্ধ হয়ে গেছি
আমি- যেনো হিমবাহ শীতে আড়ষ্ট শরীর।
যখন আমাকে স্বপ্নবিহীন এক বনসাই
মনে হলো তখন—-
ভ্রান্ত আবরণে ঢাকা জীবন ছেড়ে
প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে গিয়ে নতুন
সুখের সন্ধানে যাবার ইচ্ছে এলো।
ইচ্ছের সূর্যসন্তান’রা তখন আবার
নতুন স্বপ্নে বিভোর হলো।
এসব নিয়ে গভীর চোখে
ভেবেছি কত- একা একা!
কিন্তু না কোথাও শান্তির সাদা নেই।
সর্বত্র শুধু স্বার্থপর লৌকিকতা।।
অতঃপর
প্রকৃতির উষ্ণ নিবিড় সান্নিধ্যেই আবিষ্কৃত
হলো শুদ্ধ সুখের রাজ্য যেখানে-
বৃক্ষশাখায় পাতলা বাতাসের নরোম ছায়ায়
মিলবে:
প্রকৃত সুখ।
অবশেষে
মানুষের গিজগিজ কোলাহল ছেড়ে
পোড়া এ মনটা উড়ে চলে গেলো প্রকৃতির অচেনা রাজ্যপাটে:
কোমল নির্জনতার অনুভবে।
কষ্টের দাবানল বিধ্বস্ত বুকের প্রেমী চায় পূর্ণতা- বর্ষার শতধারায়:
যেনো শ্রাবণের বৃষ্টি অঝোর।
রঙহীন জীবনে আবার পূর্ণতা? এ যেন অভিপ্রায় অভিলাষ- স্বপ্ন বিলাস! সন্মিলিত ধারনার সহযাপন ঔদার্য কোথায়!
এইতো আমি-তাইতো—-
নির্জন ঋষিজ প্রভাবে হিরন্ময় সুখের খোঁজে যেতে চাই:
সন্ধানহীন নিভৃতি যাপনে।
ঠাঁই দিও জান্নাতে
মোঃ হাসু কবির
মসজিদের ঐ মিনার থেকে
আযান শুনি ভোরে
নামাজ পড়তে যাই না তবু
থাকি ঘুমের ঘোরে ।
এক সেকেন্ডের নেই ভরসা
স্মরণ নাহি করি
শয়তানেরই ধোঁকায় রোজই
ঘুমের ভান’টা ধরি।
জান্নাতেরই চাবি নামাজ
এটাও আমি জানি
মিথ্যে মোহে আজব ধরায়
পাপের বোঝা টানি।
আজ অবধি অতীত কাজের
হিসাব করতে গেলে
নরক মাঝে স্থানটি আমার
জান্নাত নাহি মেলে।
চোখে মুখে বিষন্নতা
কৃত কর্মের ফলে
মাফ করে ঠাঁই দিও প্রভু
জান্নাতবাসীর দলে।
কালিয়াকৈড়, উল্লাপাড়া সিরাজগঞ্জ।
বিবাহিত প্রেম
গোলাম মোস্তফা
কেউ কখনো শুনেছেন নাকি দেখেছেন বিবাহিত প্রেম
দেখছি কতো বিবাহিত মেয়েরা ধরে রাখছে বিয়ের আগের প্রেম,
এটা খুবই সহজ স্বামী থাকে দূরে।
হঠাৎ করেই বিয়ে করেন চাকরিজীবী ছেলে
খুঁজ নেওয়ার সময় নাই সুন্দরী মেয়ে হলে।
ধুমধাম বিয়ে সেরে ছেলে যায় কর্মস্থলে বউ থাকে একা
কথা বলে ফোনে উত্তর আঁকাবাঁকা।
নির্দ্বিধায় বাপের বাড়ি চলে অতীত প্রেমের খেলা।
এটা খুবই সহজ স্বামী থাকে দূরে।
বাবা মায়ে কয়না কিছু হয়ছে মেয়ের বিয়ে
জামাই আসলেই হবে ঠিক শশুর বাড়ি গিয়ে।
সব মেয়েদের হয় না সুখ স্বামীর ঘরে গিয়ে
হঠাৎ করেই হারিয়ে যায় আগের ছেলেকে নিয়ে
এভাবে অনেক জীবন নষ্ট হচ্ছে দেখেন খবর নিয়ে।
এটা খুবই সহজ স্বামী কেন দূরে।