
পূর্বাকাশে রোদ উঠেছে
পশ্চিমে সব নীল,
পাতার ফাকে ঐ দেখা যায়
উড়ছে জোড়া চিল।
চিলের ডানে পাচ্ছে শোভা
সাদা মেঘের দল,
মেঘ ও রোদের লুকোচুরি
প্রাণ খোলা উচ্ছ্বল।

নদীর পারে দোলায় মাথা
শুভ্র কাশের ফুল
ঘরের পাশে শিউলি ফুটে
প্রাণ করে আকুল।
এটাই আমার শরৎকালীন
বাংলাদেশের রূপ,
দেখলে আমার মনের মাঝে
সুখ ঝরে টুপ টুপ।
…………………………………
ইচ্ছেনদী
মোস্তাফিজুল হক
সহসা খুব মনে হলো নদীর চরে যাই,
এই শরতে সাদা কাশের পরশ পেতে চাই।
কিন্তু বড় দুখের কথা নদী হেথায় নাই!
ভাবছি বসে উদাস হয়ে নদী কোথায় পাই?
হঠাৎ দেখি চোখের ‘পরে ইচ্ছেনদীই ভাসে,
পালতোলা নাও শতশত হৃদয় ঘাটে আসে!
মনমাঝিরা বলে আমায় থমকে কেন ঠাঁয়?
উঠে এসো হৃদয় ঘাটের ময়ূরপঙ্খি নায়!
আমায় নিয়ে সে নাওখানি ভাসে উজান গাঙে,
শাপলাকলি কলমিলতা খুব হেসে মন রাঙে।
হাঁসগুলো আর চকাচকি শুধায় হেসে হেসে,
কবি তোমার ভাবনাগুলো গড়ো ছড়ার বেশে।
কাশের চরে গিয়ে দেখি মস্ত আয়োজন,
মাখনসাদা কাশের সাথে মেঘ নামানো ক্ষণ!
শরৎ নাকি উদাস চোখে কাব্যকলায় পায়,
কবির হৃদয় উদাস আঁখি ভরিয়ে দিতে চায়!
ঘুরেফিরে মুগ্ধ হ’লাম শরৎ ভালোবেসে,
ভাবের নায়ে ফিরে এলাম অযূত কবির দেশে!
………………………………………………..
মহররম
জান্নাতুল ফেরদৌসী মিশু
………………………………….
পৃথিবী শুরুতে আরবি ভাষা-
ছিলো বিদ্যামান,
আরবী মাসের প্রথম নাম
“মহররম”।
মহররম মাসের প্রথম রাতে
চাঁদ উঠে ওই আকাশে,
দেখছে সবাই আল্লাহর সৃষ্টি-
কত সুন্দর এই দুনিয়ায়।
ঈমান আনো মুসলমানগণ
নেক বান্দা হও আল্লাহ্ তা’য়ালার,
এর থেকেও সুন্দর কিছু আছে,
বেহেশতের বাগান।
আরবী মাসের প্রথম দিন থেকে
ঈমান আনো সকলে,
ইসলামের নিয়ম জীবন চালাও
পাপ থেকে হও মুক্ত।
