স্টাফ রিপোর্টার ॥ বন্য পাখি পশু ধরা বা নিধনে কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও শেরপুরে বন্ধ হচ্ছে না নির্বিচারে পাখি শিকার। শরৎকালে নদী নালা খাল বিলে পানি কমে গেলে বিপুল সংখ্যক বক জাতীয় পাখি খালে বিলে বিস্তীর্ণ ক্ষেতে খামারে মাছ, ব্যাঙ ইত্যাদি খেতে নেমে আসে। এই সুযোগে একশ্রেণীর পাখি শিকারী ফাঁদ পেতে বা তার পোষা পাখির ডাক শুনিয়ে বক, বিভিন্ন প্রজাতির বুনো হাঁস, কালিম, কোড়া সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি শিকার করে। পরে এসব পাখি গ্রামীণ ও শহরতলীর হাট বাজারে বিক্রি করে। ভোরের বেলায় শেরপুর সদরসহ, ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী, নকলা ও নালিতাবাড়ি উপজেলায় পানি নেমে যাওয়া খাল বিল ও ক্ষেতে খামারে গেলেই এ দৃশ্য অহরহ চোখে পড়বে।
২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার পরিবেশবাদী সংগঠন শেরপুর বার্ড ক্লাবের কয়েকজন সদস্য পাখির ছবি ধারণ করার জন্য ঝিনাইগাতী উপজেলার চেঙ্গুরিয়া কালিবাড়ি ও কাঁটাখালি, কোয়ারিরোড় এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। তখন তাদের নজরে বেশ কয়েকটি আলা (পাখি ধরার ফাঁদ) দিয়ে পাখি শিকারীদের বক ধরতে দেখতে পান। ক্যামেরা দেখে কয়েকজন পাখি শিকারী ফাঁদ ফেলে পালিয়ে যায়। দু’জন শিকারী ধরা পড়ে। তাদের কাছ থেকে ধৃত ৮টি বক উদ্ধার করে শেরপুর বার্ডক্লাব সভাপতি সুজয় মালাকার ও সাধারন সম্পাদক শহীদুজ্জামান খোলা আকাশে অবমুক্ত করে দেন। পাখি শিকারীরা তাদের জানায় তারা খুব গরিব। তাদের হাতে কাজ না থাকায় তারা পাখি ধরে বাজারে বিক্রি করে। এক জোড়া বক প্রকার ভেদে দেড়শ’ থেকে দুইশ’ টাকায় বিক্রি হয়। তারা ভবিষ্যতে পাখি শিকার করবে না বলে ওয়াদা করে।
এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের তিনি ওই বিষয়ে সতর্ক করে দেবেন এবং মাইকিং করে পাখি শিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করবেন বলে জানান।
