রবিবার , ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

শেরপুর আইটি পার্ক’র আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯ ১০:২৬ অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধুর ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্নকে আরও এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয়ে সব ধরনের তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক সেবা নিয়ে একদল তরুণ উদ্যোক্তার হাত ধরে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে ‘শেরপুর আইটি পার্ক’। ১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার রাতে শেরপুর শহরের নিউমার্কেটস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট ভবনে আয়োজিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়।
বর্তমানে টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে বদলে গেছে মানুষের জীবনযাত্রা। দৈনন্দিন জীবনে তথ্য প্রযুক্তি বড় একটি জায়গা করে নিয়েছে। যোগাযোগ, পড়াশোনা, কেনাকাটা, ব্যাংকিং, স্বাস্থ্যসেবা, অফিস আদালতের কাজকর্ম, বিনোদন, ব্যবসা-বাণিজ্য সব ক্ষেত্রেই এই মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরেও তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে এর সুফল তরুণ-তরুণীদের পৌঁছে দিতে কাজ করছে শেরপুর আইটি পার্কের ১১ সদস্যের একটি তরুণ দল। এই দলের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন ইফতেখার হোসেন পাপ্পু, কো-চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন এসএম জুবাইদুল ইসলাম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে রয়েছেন প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম। এছাড়া পরিচালক হিসেবে রয়েছেন সাইফুল ইসলাম রনি, রইচ উদ্দিন হৃদয়, মাসু জাহান মুন্নী, রাজাদুল ইসলাম, জয়ন্ত কুমার দে, হাসানুল বান্না সিফাত, কামরুন নাহার কণা ও আনিকা রহমান অন্তু।
প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ইফতেখার হোসেন পাপ্পুর সাথে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, শেরপুর জেলা বাংলাদেশের গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত প্রান্তিক জেলার মধ্যে একটি। এই জেলায় তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে সাধারণ মানুষ সুফল সম্পর্কে তেমন অবগত নন। যার প্রধান কারণ প্রচার-প্রচারণা এবং আইটি বিষয়ে উদ্যোক্তার অভাব। তাই আমরা শেরপুর জেলার শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীদের আইটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করে তাদের স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এনে দিতে চাই। আর এজন্য জেলা প্রশাসনসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতা প্রয়োজন।
প্রতিষ্ঠানের কো-চেয়ারম্যান এস এম জুবাইদুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আগামী এক বছরে অন্তত একশত তরুণ-তরুণীকে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য রয়েছে। সম্প্রতি শেরপুরে হাই-টেক পার্কের জায়গা পরিদর্শনে এসে তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘শেরপুরে তথ্য প্রযুক্তিকে শিল্প হিসেবে গড়ে তোলা হবে। আর এটি হলে শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা তাদের ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে সক্ষম হবে’। আর সে লক্ষ্যকে সামনে রেখেই কাজ করে যাচ্ছে শেরপুর আইটি পার্কের একদল উদ্যমী তরুণ।
প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিকুল ইসলাম বলেন, সময়ের বিবর্তনে মানুষ এখন অটোমেশনের যুগে প্রবেশ করেছে। তাই পৃথিবী এখন চলে এসেছে হাতের মুঠোয়। তাই তথ্যপ্রযুক্তি সেবা গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কাজের গতি বেড়েছে হাজার গুণ। অল্প সময়ে পরিশ্রম লাঘবের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজের ফলাফল পেতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই। তাই আমরা আইটি ডিভাইস ব্যবহারে প্রশিক্ষণ প্রদান, স্কুল-কলেজ পরিচালনা সহজীকরণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল হাজিরা, অনলাইনে পরীক্ষার ফলাফল, শিক্ষার্থীদের ফি প্রদান, প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইট ও অ্যাপ্স তৈরি ও ডেভেলপমেন্ট, ফেসবুকে প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রদান, অফিস, প্রতিষ্ঠান ও বাসা বাড়ির নিরাপত্তা নজরদারী প্রদানে সিসি টিভি মনিটরিং, কম্পিউটার নেটওয়ার্কিংসহ সব ধরনের আইটি সেবা প্রদান করবো। এছাড়া শিক্ষার্থী, তরুণ-তরুণীদের মধ্যে যারা তথ্য প্রযুক্তি শেখার মাধ্যমে আত্মস্বাবলম্বী হতে চান তাদের সঠিক দিক-নির্দেশনা প্রদানসহ প্রশিক্ষণ দেবে শেরপুর আইটি পার্ক।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!