স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরে আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন উপলক্ষে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে বিভিন্ন মণ্ডপ কর্তৃপক্ষ ও পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিমিয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে শহরের গোপালবাড়ী মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ওই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি। ওইসময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার সকল ধর্মের মানুষের উৎসব শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এর ধারাবাহিকতায় বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্বজনীন দুর্গোৎসব উৎসাহ-উদ্দীপনা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের জন্য জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে উৎসবে ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্য বজায় রাখার জন্য তিনি পূজামণ্ডপ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট সুব্রত কুমার দে ভানুর সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য প্রদীপ রঞ্জন দে, নরেশ চন্দ্র দে, সহসভাপতি শক্তিপদ পাল, যাদব চন্দ্র ঘোষ, সুশান্ত কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক চন্দন সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিনয় সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক নন্দ সাহা, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে বিশ্বজিত রায় ও চন্দন কুমার দাস, শহর পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি অজয় চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক রাজন সরকার প্রমুখ।
সভায় জানানো হয়, এ বছর শেরপুর সদর উপজেলায় ৬৪টি, নকলায় ২০, নালিতাবাড়ীতে ৩৬, ঝিনাইগাতীতে ১৬ ও শ্রীবরদী উপজেলায় ৯টি পূজা মণ্ডপসহ জেলায় ১৪৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন মণ্ডপ কর্তৃপক্ষের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
