ads

সোমবার , ১৫ জুলাই ২০১৯ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

সুনামগঞ্জে ১ লাখ ৩০ হাজার পরিবার পানিবন্দি

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
জুলাই ১৫, ২০১৯ ১২:৪৩ অপরাহ্ণ

সুনামগঞ্জ : পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে সুনামগঞ্জের ১১ উপজেলা। সরকারি হিসেবে ১১ উপজেলার ৭০টি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ায় প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে স্থানীয়রা বলছে, বন্যায় নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও বেশি পরিবার।
বন্যায় এলাকার নলকূপগুলো তলিয়ে গেছে। এতে বিশুদ্ধ পানি সংকটসহ পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার কৃষকরা। টানা বৃষ্টি ও ঢলের কারণে এখন নিম্নাঞ্চলে দুর্ভোগ বেড়েছে। তলিয়ে গেছে সব উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় সরকারি ১০টি বন্যাশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলো প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি জেলার বন্যাশ্রয় কাম স্কুল হিসেবে নির্মিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরইমধ্যে ২৩৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গত চার দিন ধরে বন্ধ। আরো তিন শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনা ও আসা যাওয়ার একমাত্র রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় সেগুলোও বন্ধ রয়েছে।
জেলার তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও বক্ষব্যাধি হাসপাতাল প্লাবিত হয়ে সাধারণ মানুষদের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। বন্যার কারণে দ্রব্যমূল্যের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রাম এলাকার অনেক হাট বাজার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সেখানেও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল হক বলেন, প্রথম পর্যায়ে বন্যাক্রান্ত ছয়টি উপজেলায় তিন লাখ টাকা, ৩০০ মেট্রিকটন চাল ও ২৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে চাহিদা পাঠানোর পর গতকাল রবিবার ১০ লাখ টাকা, ৩০০ মেট্রিকটন চাল ও ৪০০০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো বন্যাকবলিত ১১ উপজেলার ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বণ্টনের জন্য উপজেলায় পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইর রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমানুর রাজা চৌধুরী বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের সব গ্রাম প্লাবিত। অনেক মানুষের বাড়িঘরে পানি। অনেক মানুষ রান্নাবান্না করতে পারছে না।’ তিনি বলেন, কৃষকরা গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। নিজেরা কোনভাবে ম্যানেজ করতে পারলেও গোখাদ্য নিয়ে চিন্তিত তারা।
এদিকে, গত ছয় দিন ধরে পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণ অব্যাহত আছে। সোমবার সকাল ৯টায় সুরমার পানি বিপৎসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৮০ মিলিমিটার। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক ভূঁইয়া বলেন, বন্যা ফোরকাস্টিং কেন্দ্র আমাদের জানিয়েছে আগামী ২১-২২ জুলাই পর্যন্ত ঢল ও বর্ষণ অব্যাহত থাকবে। তাই পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

error: কপি হবে না!