খোরশেদ আলম, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) ॥ শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ফের শুরু হয়েছে বন্যহাতির তাণ্ডব। বন্যহাতির দল প্রতি রাতেই পাহাড়ী গ্রামগুলিতে চলছে বন্য হাতির তাণ্ডব। উপুর্যপুরি বন্যহাতির তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পাহাড়ী গ্রামগুলো। ওইসব পাহাড়ী গ্রামগুলো হচ্ছে তাওয়াকুচা, গুরুচরন দুধনই, পানবর, বাকাকুড়া, হালচাটি, গজনী, গান্দিগাঁও, নওকুচি, রাংটিয়া, সন্ধ্যাকুড়া, গোমড়া ও হলদীগ্রাম। ওইসব গ্রামগুলোতে প্রায় প্রতি রাতেই বন্যহাতির দল তা-বলীলা চালাচ্ছে। ক্ষেতের পাকা বোরো ধান, কলার গাছ,তারাই বাশ, গাছের কাঠাল,আম,লিচু ও চা’সহ শাক-সবজির বাগানের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। বন্য হাতির দল গাছের ফল-মূল খেয়ে ও পায়ে পিশিয়ে দুমড়ে-মুচড়ে একাকার করে চলছে।
গান্দিগাঁও গ্রামের দুলাল মিয়া ও সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল হকসহ গ্রামবাসীরা জানায়, বন্য হাতির আক্রমণ থেকে জান-মাল ও ক্ষেতের ফসল রক্ষার্থে গ্রামের শত শত মানুষ রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে। ঢাক-ঢোল ও ফুটকা ফুটিয়ে, মশাল জালিয়ে হাতি তারানোর চেষ্টা করছে। এসব পাহাড়ী গ্রামবাসীদের চোখে এখন ঘুম নেই। বন্য হাতির তান্ডবে আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়েছে পাহাড়ী গ্রামবাসীরা। বন্য হাতির আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়েছে অনেকের বাড়ী ঘর। হাতির তান্ডব থেকে রক্ষা পেতে কেউ কেউ ঘর বাড়ী ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। বন্য হাতির দল দিনে গভীর অরন্যে আশ্রয় নিচ্ছে। খাদ্যের সন্ধ্যানে রাতে লোকালয়ে নেমে এসে তান্ডব চালাচ্ছে। ফলে পাহাড়ী গ্রামবাসিদের চোখে এখন ঘুম নেই। কাংশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ও নলকুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফর্সা বলেন, বন্য হাতির তান্ডবে বিপর্যস্ত পাহাড়ী গ্রামবাসীরা এখন মানবেতর জীবন যাপন করে আসছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গত ৮ জুন বন্য হাতির তান্ডবে বিধ্বস্ত গোমড়া গ্রামের ওসমানসহ ওই ৩ পরিবারের মাঝে ১২ হাজার টাকা ও ঢেউ টিন বিতরণ করা হয়েছে।




