শ্যামলবাংলা ডেস্ক : শত মানুষকে উদ্ধার করে নিজেই না ফেরার দেশে চলে যাওয়া ফায়ারম্যান সোহেল রানাকে অশ্রুসিক্ত নয়নে শেষ শ্রদ্ধায় বিদায় জানালেন সহকর্মীরা। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নিজের কর্মস্থল ফায়ার সার্ভিসের সদর দফতরে অনুষ্ঠিত তার জানাজায় সবাই ছিলেন অশ্রুসিক্ত। তার জানাজায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালসহ ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন স্তরের কর্তকর্তা-কর্মচারীরা এতে অংশ নেন।
জানাজা শেষে চিরনিদ্রায় সমাহিত করার জন্য সোহেল রানার মরদেহ গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের চৌগাঙ্গা উপজেলার ইটনার কেরুয়ালা এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্সে করে। সেখানেই দাফন হবে ফায়ারম্যান সোহেল রানাকে।
এর আগে, সোমবার রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে সোহেল রানার মরদেহ সিংগাপুর থেকে দেশে এসে পৌঁছায়। বনানীর এফআর টাওয়ারের ভয়াবহ আগুনে উদ্ধারকাজ চালানোর সময় মারাত্মক আহত সোহেল রানাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সিংগাপুর পাঠানো হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশে সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
গত ২৮ মার্চ বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের ফায়ারম্যান সোহেল রানাও উঁচু ল্যাডারে (মই) উঠে আগুন নেভানো ও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে কাজ করছিলেন। এক পর্যায়ে সোহেলের শরীরে লাগানো নিরাপত্তা হুকটি মইয়ের সঙ্গে আটকে যায়। তিনি মই থেকে পিছলে পড়ে বিপজ্জনকভাবে ঝুলছিলেন। এ সময় তার একটি পা ল্যাডারের চাপে ভেঙে যায়।




