স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার তাতিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আসাদউল্লাহ বিল্লালের পদে থাকার ওপর ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট। ২৫ মার্চ সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ওই আদেশ দেন। ওই আদেশের ফলে তিনি আর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। অন্যদিকে চেয়ারম্যান আসাদউল্লাহ বিল্লাল জানিয়েছেন, ওই আদেশের বিষয়ে শুনলেও ২৬ মার্চ মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত তিনি কোন চিঠি পাননি। এ নিয়ে এলাকায় চলছে ব্যাপক তোলপাড়।
জানা যায়, শেরপুরের শ্রীবরদীর তাতিহাটি ইউনিয়নের ছনকান্দা গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেন মাস্টারের ছেলে আসাদউল্লøাহ বিল্লাল ঝিনাইগাতী উপজেলার আদর্শ মহাবিদ্যালয়ে প্রভাষক (ইংরেজি) হিসেবে কর্মরত থাকাবস্থায় নিজ এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে ওই মহাবিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হলে একইসাথে তার সরকারের লাভজনক ২ পদে থাকার বিষয়ে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়। এরপর তার একইসঙ্গে ওই ২ পদের থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওইসময়ে (২০১৮ সালে) ওসমান গণি সাজু নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ১৯ নভেম্বর আসাদউল্লাহ বিল্লাল কোন ক্ষমতাবলে একইসঙ্গে ২টি পদে দায়িত্ব পালন করছেন, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এরপর গত ২০ ফেব্রুয়ারি একইসঙ্গে ২টি পদে থাকায় মিজার উদ্দিন নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি আসাদউল্লাহর চেয়ারম্যানের পদে থাকার ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে আরেকটি আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার আদালত আসাদ উল্লাহর চেয়ারম্যান পদে থাকার ওপর অর্ন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শরীফ আহমেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা ও একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে আসাদউল্লাহ বিল্লাল বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এখনও চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে নির্দেশনা মোতাবেক তা পালন করব। তবে নিজ আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করে কিছু করার থাকলে সেটাও করবেন বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার বিকেলে শেরপুরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) এটিএম জিয়াউল ইসলাম শ্যামলবাংলা২৪ডটকমকে বলেন, তাতিহাটি ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে উচ্চ আদালতের কোন আদেশ এখনও পাইনি। আদেশ পেলে অবশ্যই দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, একই সঙ্গে ২ পদে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে ইতোপূর্বে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যদের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছিল এবং মন্ত্রণালয় জানিয়ে দিয়েছিল একই সঙ্গে তার ২ পদে দায়িত্ব পালনের সুযোগ নেই। কিন্তু উচ্চ আদালতে রিট পেন্ডিং থাকার কারণে তখন ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।