ads

রবিবার , ১৭ মার্চ ২০১৯ | ১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

শেরপুরে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণে জটিলতা নিরসনের সম্ভাবনা

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
মার্চ ১৭, ২০১৯ ৮:৩৮ অপরাহ্ণ

হুইপ আতিকের আগমনকে ঘিরে আইনজীবীদের মাঝে আশার আলো

Shamol Bangla Ads

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবশেষে শেরপুরে বহুল প্রতীক্ষিত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণে জটিলতা নিরসনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ১৮ মার্চ সোমবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের অভিষেক অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে সম্মতি প্রকাশ করার মধ্য দিয়ে ওই সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই অনুষ্ঠানে হুইপ আতিকের আগমনকে ঘিরে স্থানীয় আইনজীবীদের মাঝে দেখা দিয়েছে আশার আলো।
জানা যায়, বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের পর ৬৪ জেলায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৯ বছর আগে দ্বিতীয় পর্যায়ে শেরপুরে ওই ভবন নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ভবনের স্থান নির্বাচনে জটিলতার কারণে আজও তার নির্মাণ সম্ভব হয়ে উঠেনি। কারণ আওয়ামী লীগের ১৯৯৬ সালের সরকারের মেয়াদকালে তৎকালীন পুরাতন আদালত অঙ্গনে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তৎকালীন আইনমন্ত্রী এডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু। কিন্তু পরবর্তীতে ২০০১ সালে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তাদের মেয়াদকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পাশে পশ্চিম-দক্ষিণ পাশে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবন নির্মাণ করা হয়। ২০০৭ সালে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের পর বিচার বিভাগের পরিধি ও কাজ অনেকটাই বেড়ে যাওয়ায় দ্রুত সিজেএম আদালত ভবনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ার পরও ওই ভবন নির্মাণের জন্য স্থান নির্বাচনে জটিলতার সৃষ্টি হয়। সূত্রমতে, আওয়ামী লীগের ক্ষমতাসীন দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা চাচ্ছিলেন পুরাতন আদালত ভবন অঙ্গনেই যেন সিজেএম আদালত নির্মিত হয়। কিন্তু কিছু জায়গা থাকার পরও পুরাতন আদালত ভবনের মূল অংশে পরবর্তীতে শিল্পকলা একাডেমি ভবন নির্মিত হওয়ায় এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পাশে থাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালত রেখে যানজটে নাকাল মূল শহর পেরিয়ে পুরাতন জায়গায় যেতে নারাজ হয়ে উঠেন স্থানীয় আইনজীবীরা। আর এ থেকেই সৃষ্টি হয় ওই জটিলতা। এক পর্যায়ে দিন দিন তা বেড়ে অনেকটা ঝুলে পড়লেও রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিদের বিরাগভাজন হাওয়ার আশঙ্কায় আইনজীবীদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাও খুব একটা দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে পারেননি। ওই অবস্থায় ২০১৮ সালে আইনজীবী সমিতির তৎকালীন সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধারের নেতৃত্বে কার্যনির্বাহী পরিষদের কর্মকর্তারা ওই জটিলতা নিরসন সাপেক্ষে জেলা ও দায়রা জজ আদালত অঙ্গনেই সিজেএম ভবন নির্মাণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ওই বছরের ১৪ মার্চ নির্বাহী পরিষদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত এবং পরবর্তীতে তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ এম এ নূরের নেতৃত্বে বিচার বিভাগের সাথে যৌথ সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আলোকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় রেজ্যুলেশনের কপি। সে মোতাবেক পরবর্তীতে সিজেএম ভবন প্রকল্পের পরিচালক বিকাশ চন্দ্র সাহা প্রস্তাবিত স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং আইনজীবী সমিতির নেতারা তাকে নিয়ে তৎকালীন জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন ও পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গনির সাথেও মতবিনিময় করলে তারা সবাই একই অঙ্গণে ওই ভবন নির্মাণে একমত পোষণ করেন। ফলে আইনজীবী নেতাদের উদ্যোগ, প্রকল্প পরিচালকের আগ্রহ ও গণপূর্ত বিভাগের আন্তরিকতাসহ বিচার বিভাগের সহায়তায় ১৪ তলার ওই ভবন নির্মাণে ডিজিটাল সার্ভে সম্পন্ন করে তা এক পর্যায়ে টেন্ডারের প্রক্রিয়ায় চলে যায়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বাহ্নে ওই টেন্ডার আহবানের সম্ভাবনা থাকলেও পরবর্তীতে নির্বাচনের কারণে তা থেমে যায়। যে কারণে আজও স্থানীয় আইনজীবী আশাহত হয়ে আছেন।
এদিকে ২০১৪ সালে আইনজীবী সমিতির সার্ধশত বর্ষপূর্তির উৎসবের দীর্ঘ ৫ বছর পর ফের আইনজীবীদের অনুষ্ঠানে যখন যাচ্ছেন শেরপুর সদর আসন থেকে টানা ৫ দফায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও টানা দু’দফায় নির্বাচিত সরকারদলীয় হুইপ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক, ঠিক তখন স্থানীয় আইনজীবীরা আবারও আশায় বুক বেঁধেছেন। তারা আশা করছেন বিচার বিভাগ ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের উপস্থিতিতে আইনজীবীদের ওই অনুষ্ঠানে তিনি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সিজেএম আদালত ভবন নির্মাণে জটিলতার অবসান ঘটিয়ে একই অঙ্গণে অর্থাৎ বর্তমান জেলা ও দায়রা জজ আদালত অঙ্গণেই তা দ্রুত নির্মাণের ঘোষণা দেবেন। পরিবর্তিত অবস্থায় এমনই আশা করছেন আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপিসহ আইনজীবীদের অনেক নেতাই।
এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির সদ্য সাবেক সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার বলেন, দেশের হাতে গোনা কয়েকটি বারের মতো শেরপুর বারও একটি আধুনিক ও সমৃদ্ধ বার হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে। গত পরিষদে আমাদের মেয়াদকালে প্রধান অঙ্গীকার ছিল জেলা জজ আদালত অঙ্গণেই বহুল প্রতীক্ষিত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ করার। দীর্ঘ প্রায় ১০ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করে ওই প্রথম নির্বাহী পরিষদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত এবং পরবর্তীতে বিচার বিভাগের সাথে যৌথ সভা ও সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে সিজেএম ভবন প্রকল্পের পরিচালকের পরিদর্শনসহ ডিজিটাল সার্ভে সম্পন্ন করা হয়। এরপর ওই ভবন নির্মাণের বিষয়ে টেন্ডারের প্রক্রিয়াধীন থাকার পরও বিষয়টি হঠাৎ করে ঝুলে যায়। তাই বার-বেঞ্চের মধ্যে সু-সম্পর্ক ও কলুষমুক্ত বিচারঅঙ্গন প্রতিষ্ঠাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে আমাদের সফলতার তুলনায় ব্যর্থতা না থাকলেও কেবল ওই একটি ক্ষেত্রে ব্যর্থতা রয়েই গেছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সমিতির ৫ দফায় নির্বাচিত সভাপতি এডভোকেট একেএম মোছাদ্দেক ফেরদৌসীর নেতৃত্বে নবনির্বাচিত কর্মকর্তারা আইনজীবীদের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলে বিদায়ী কমিটির তরফ থেকে অনেক দূর এগিয়ে রাখা কাজটির বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। তবে তা বাস্তবায়নে এখন দায়িত্বশীল রাজনৈতিক মহলের সদিচ্ছার কোন বিকল্প নেই।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!