শ্যামলবাংলা ডেস্ক : ভারত থেকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের জন্য (বিআরটিসি) এক হাজার ১০০টি বাস ও ট্রাক সরবরাহসহ ৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যকার ভিডিও কনফারেন্সে। ১১ মার্চ সোমবার বেলা সোয়া ১টার দিকে ভিডিও কনফারেন্স শুরু হয়। কনফারেন্সের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী মোদি বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার বহুমাত্রিক সহযোগিতার ফলে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও মজবুত হলো। তিনি বলেন, ভারত থেকে বিআরটিসির জন্য বাস পাওয়ায় আমাদের দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার আরও উন্নয়ন হবে। এছাড়া যানবাহন সংকটেরও অনেকটা সমাধান হবে। যাত্রীদের দুর্ভোগ কমবে।
পানি শোধনাগার, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ অন্য যেসব প্রকল্পের উদ্বোধন হলো, সেগুলো বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে আসবে- বলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে আগামী ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে নরেদ্র মোদির সাফল্য কামনা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের ঠাঁই হবে না। এছাড়া কাশ্মীরে নিহতদের জন্য সমবেদনা এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য ঘৃণা প্রকাশ করেন।
অপরদিকে নরেদ্র মোদি শুভেচ্ছা বক্তব্যে উল্লেখ করেন, পরিবহন সেক্টরসহ বিভন্ন সেক্টরে আমরা বাংলাদেশকে যে সহযোগিতা করছি তাতে বাংলাদেশের মানুষ উপকৃত হবে। এসব সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।
‘শেখ হাসিনার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা গৌরবের’ বলেও মনে করেন মোদি। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন আমি তার সফলতা কামনা করি।’
মোদি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আবার ক্ষমতায় আসতে পারলে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’ তিনি বাংলায় বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব চিরজীবী হোক’।
বিআরটিসি সূত্র জানায়, ভারত থেকে প্রাপ্ত ঋণে কেনা ৬০০ বাস ও ৫০০ ট্রাকের মধ্যে ৩০০টি ডাবল ডেকার, ১০০টি নন-এসি, ১০০টি সিটি-এসি ও ১০০টি ইন্টারসিটি এসি বাস। ট্রাকগুলোর মধ্যে ৩৫০টি ১৬ দশমিক ২ টন বহন ক্ষমতাসম্পন্ন এবং ১৫০টি ১০ দশমিক ২ টন বহন ক্ষমতাসম্পন্ন।
এখন পর্যন্ত ৪৭টি বিআরটিসি বাস ও ২৫টি ট্রাক বাংলাদেশে পৌঁছেছে। বাকি বাস ও ট্রাক চলতি বছরের জুনের মধ্যে পৌঁছাবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র জানায়, দুই প্রধানমন্ত্রী ভারত সরকারের অনুদানের আওতায় জামালপুর, শেরপুর, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন করেন। বাকি যেসব প্রকল্পের উদ্বোধন হয় সেগুলো হলো- পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া পৌরসভায় ১১টি পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট এবং সার্ক দেশগুলোতে ন্যাশনাল নলেজ নেটওয়ার্ক (এনকেএন) সম্প্রসারণের আওতায় বাংলাদেশে এনকেএন সম্প্রসারণ।