প্রতিদিন দেশের কোন না কোন এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়। তাতে নিহত আহতের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে, বাড়ছে পঙ্গুত্বের পরিমাণ। তথ্যমতে এপর্যন্ত যতগুলো মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে, অধিকাংশ দুর্ঘটনায় উঠতি বয়সী বা স্কুল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থী জড়িত। অনুসন্ধানে এর পিছনের কারন খোঁজতে গিয়ে জানা গেছে, মোবাইলে কথা বলতে বলতে বাইক চালানো, হেলমেড ব্যবহার না করা এবং চালকের প্রশিক্ষণ না থাকা দায়ী। তাই অভিভাবকদের কাছে বিনীত অনুরোধ আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তায় তাদের হাতে মোবাইল ও মোটরসাইকেল তুলে দিবেন না।
আপনি আপনার সন্তানের ভালো চান বলেই হয়ত ভুলবশত আপনার আদরের সন্তানের হাতে স্মার্টফোন ও মোটরসাইকেল তুলে দিচ্ছেন। আপনার সন্তানকে বেশি আদর দেখাতে গিয়ে পরোক্ষভাবে আপনি নিজের সন্তানকে তার জীবন ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। তবে মনে রাখা উচিত, একটি দুর্ঘটনা হতেপারে একটি পরিবারের সারা জীবনের কান্না।
এ বিষয়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি দেওয়া জরুরি বলে মনা করা হচ্ছে। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের হাতে স্মার্টফোন ও তাদের মোটরসাইকেল চালাতে বাধার সৃষ্টি করতে পারলে দুর্ঘটনা অনেক কমবে বলে মনে করছেন সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। অনেকের ধারনা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা রোধে অপ্রাপ্তদের হাতে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করাসহ অন্যান্যদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেলমেট বাধ্যতামূলক করা উচিত। তাতে জাতির ভবিষ্যতদের অকালে প্রান দিতে হবেনা। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন যেমন স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি ও সাধারন জনগনের সার্বিক সহযোগিতায় বাল্যবিবাহ, মাদক ও জঙ্গীবাদের মত সামাজিক ব্যাধীগুলো বন্ধে আস্তে আস্তে সফল হচ্ছেন, তেমনি সংশ্লিষ্টরা এই ক্ষেত্রে গুরুত্ব সহকারে ভুমিকা পালন করেল নিশ্চিত সফলতা আসবে বলে মনে করছেন সর্বসাধারণ। তাই স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রশাসনের কাছে এমন দুর্ঘটনা নিরসনে সাধারণ জনগন দর্শনীয় ভুমিকা আশা করতেই পারে। যদিও ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির ব্যাপারে সরকারিভাবে সুস্পষ্ট নির্দেশনা ও সতর্কবাণী আছে। তবুও অধিকাংশ তরুনরা সেসবের তোয়াক্কা নাকরে অকাতরে জীবন দিচ্ছে, যা আমাদের জাতীয় জীবনের হুমকি বৈকি!
তাই অভিভাবকসহ যানবাহন (মোটরসাইকেল) সংশ্লিষ্টদের কাছে বিনীত অনুরোধ- আপনাদের পেশাদারিত্ব, জনকল্যাণ ও ভভিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এখনই স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীদের হাতে স্মার্টফোন ও মোটারসাইকেল যেন না উঠে সেদিকে নজর দিন। এখনই উদ্যোগ না নিলে, এর প্রভাবে ভবিষ্যতে কি হতে পারে তা ভবিষ্যতই বলে দেবে। তাই এ ব্যাপারে আইনের সঠিক ও কঠোর প্রয়োগ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
লেখক : শিক্ষক ও সাংবাদিক, নকলা, শেরপুর। ইমেইল- musharaf9ab@gmail.com